দেলোয়ার হোসেন, বাউফল (পটুয়াখালী)

  ২৫ মার্চ, ২০২৪

বাউফলে সরকারি তালিকা থেকে ১১ জেলের নাম কাটার অভিযোগ

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারী তালিকা থেকে ১১ জন ‘প্রকৃত’ জেলের নাম কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ১০ বছর তালিকায় থাকার পর হঠাৎ নাম বাদ দেওয়া বিপাকে পড়ছেন। এ ঘটনায় সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জেলেদের একজন পলাশ।

এদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে জাল ফেলতে না পারায় তাদের আয়-রোজগারও বন্ধ। বিকল্প কোনো আয়ের উৎস না থাকায় অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।অভিযোগকারী জেলে পলাশ উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পেশা বদল না করলেও নাম কেটে দেওয়া হয়েছে বলে তার দাবি। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা করা আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

ভুক্তোভোগী জেলেরা জানান, ২০১৪ সাল থেকে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৎস্যজীবী পলাশ, শহিদুল, হিরন, রিপন, ইউসুফ, ওবাইদুল, হারুন, রেজাউল, ফারুক, ইদ্রিছ ও মেসের আলীর নাম জেলেদের ভিজিএফ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তালিকায় তাদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে বরাদ্দের চাল না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপদে পড়েছেন তারা।

অভিযোগকারী জেলে পলাশ বলেন, ‘১৩-১৪ বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি চাল পাইছি। এহন পাই না। এইবার জাইল্লাদের (জেলে) চাল দেওয়ার সময় যাইয়া দেহি তালিকায় আমার নাম নাই। অথচ আমার জেলের কার্ড আছে। আমার মতো আরো অনেক আসল (প্রকৃত) জাইল্লাদের নাম তালিকা থেকে কাইট্টা (কর্তন) দিছে মৎস অফিস। কেন আমাদের নাম কাইট্টা দিছে জানি না। আমরা পেশাও পালডাই (বদল) নাই।’ তিনি সরকারের তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মো. মাহাবুব আলম (ঝান্টা) তালুকদার বলেন, ‘পেশা বদল করায় আমরা অনেক সময় জেলেদের নাম কেটে থাকি। অভিযোগকারীরা প্রকৃত জেলে হয়ে থাকলে তদন্ত করে তাদের নাম আবার অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজি বলেন, ‘জেলেদের থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পটুয়াখালী,দেলোয়ার হোসেন, বাউফল (পটুয়াখালী),বাউফল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close