নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ির প্রমাণ পেলে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে।’

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের প্রার্থী, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ নির্বাচনে প্রভাবশালী দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের সূত্র ধরে তিনি এ হুশিয়ারি দেন। তিনি আরো বলেন, এ নির্বাচনে আচরণ বিধি না মেনে অনিয়ম করলে যেকোনো মুহুর্তে নিবার্চন বন্ধ করে দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার আরিফুর রহমাম মন্ডল, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামসহ ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বর ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৯ মার্চ সকাল ৮ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এতে জেলার ৭টি পৌরসভা ৯টি উপজেলা পরিষদ, ৮৩টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৯৬ জন মেয়র চেয়ারম্যান ও মেম্বররা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রয়োগ করবেন।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য ওই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। এ কারণে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।

পিডিএস/আরডি