গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ

  ০৬ মার্চ, ২০২৪

সিরাজগঞ্জ

কর্মক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারীদের সাফল্য 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

সিরাজগঞ্জে নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে সমান তালে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। পাশাপাশি তারা ব্যবসা, গবাদিপশু পালন, মৎস্য চাষসহ কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যার ফলে পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করে নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। নারীদের এই সাফল্যে পরবর্তী প্রজন্মের নারীরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলায় নারী শিক্ষার হার ও বেড়েছে বলে জানা গেছে ।

এ ছাড়া জেলার নারীরা উদ্যোগী হয়ে গড়ে তুলছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে নারী কর্মকর্তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংসারও পরিচালনা করছেন। জেলার নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নারী নির্যাতনের সংখ্যাও কমেছে।

স্থানীয় চাতাল শ্রমিক আলো ও আরোতিরা জানান, আগে তারা শুধু বাড়ির কাজ করত। তখন সংসারে অভাব লেগে থাকত। এখন তারা পুরুষের পাশাপাশি ধানের চাতালে কাজ করে। সপ্তাহে ৩০০ থেকে ৫০০ মণ ধান সিদ্ধ ও শুকানোর পর তারা প্রতি মণ ধান ১৮ টাকা হিসেবে ৫ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা পায়। এই টাকা তারা ৪ থেকে ৫ জন নারী-পুরুষ মিলে সমানভাবে ভাগ করে নেয়। তারা জানান এখন আর আগের মতো নারী শ্রমিকদের কম দেওয়া হয় না। অথচ গত কয়েক বছর আগেও নারীদের মজুরি পুরুষের চেয়ে কম দেওয়া হতো।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমী বলেন, সব ক্ষেত্রেই নারীরা দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে। নারী পুরুষের ঐক্যবদ্ধ কর্মদক্ষতাই কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়ে খাদ্যে স্বনির্ভর ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে তরান্বিত করবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা এ বিষয়ে বলেন, আগের তুলনায় এখন জেলায় নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান অনেক ভালো। প্রশাসন ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে নারীরা আসিন হয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি আরো জানান, আগামী প্রজন্ম আরো এগিয়ে যাবে বলে আশা রাখছি। নারীরা স্বাবলম্বী হওয়ায় জেলায় আজ নারী নির্যাতন অনেকটাই কমে গেছে।

সিরাজগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা জানান, নারী সকল প্রকার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষাসহ সচ্ছল জীবন-যাপন করবে। নারীদের আয়বর্ধক কাজে আগ্রহী করে তোলার জন্য নারীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের চাহিদামতো ঋণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এখান থেকে ঋণ নিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা অধিকাংশই স্বাবলম্বী হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিরাজগঞ্জ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close