কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনে পর্যটকদের টার্গেট করে ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবনসহ নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপে সক্রিয় থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

শনিবার (২ মার্চ ভোরের দিকে মোটেল জোনের কলাতলী লাইট হাউজ এলাকা সংলগ্ন আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় এই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আটক ব্যক্তিরা সঙ্গবদ্ধ চক্র। তারা কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের টার্গেট করে কৌশলে তাদের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে সর্বস্ব লুট করে নেয়। ইতিপূর্বে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও পর্যটন জোনকে অপরাধ মুক্ত করতে এই বোরকা বাহিনীকে আইনের আওতায় আনতে টুরিস্ট পুলিশ তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা দিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করে। দীর্ঘ তৎপরতায় শেষে এই বোরকা বাহিনীর আবিস্কার করে এবং তাদের গোপন আস্তানার সন্ধান পায়।

ডিআইজি আপেল মাহমুদ আরো জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে একটি টিম মোটেল জোনের কলাতলী লাইট হাউজ এলাকা সংলগ্ন আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালান। এ সময় বাইরে তালাবদ্ধ একটি সাইনবোর্ডবিহীন কটেজে (যা বোরকা বাহিনী গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে) অভিযান চালিয়ে নারী-পুরুষসহ বাহিনীর ২৫ সদস্যকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, চকরিয়ার উওর কাহারিয়া ঘোনা এলাকার ইউনুস, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ইমাম হোসেন, চকরিয়ার ভরামহুরী এলাকার রুবেল, শহরের কলাতলীর রাব্বি, লক্ষীপুর লামচর এলাকার বিপ্লব, কিশোরগঞ্জের ইয়াহিয়া, চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার বিপুল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার জনপ্রিয় বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার সবুজ বড়ুয়া, মহেশখালীর রুবেল, চট্টগ্রাম লোহাগড়ার তামিম মোল্লা, নোয়াখালীর বালুচরা এলাকার রিফাত, শহরের নাজিরারটেকের শওকত ওসমান, চট্রগ্রাম আনোয়ারার লোকমান, চকরিয়ার বদরখালীর ফোরকান, সিরাজগঞ্জের শরীফ সলঙ্গা এলাকার নান্নু, গাজীপুর টঙ্গীর নোহা জাহান, ময়মনসিংহ ফরাজিবাড়ি এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী নূরী, ঈদগাঁ পূর্ব নাপিতখালির জোবাইদা আক্তার, উখিয়ার তানিয়া আক্তার, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার আফরিন আক্তার, চট্টগ্রাম বাঁশখালীর ঝিনুক, ঈদগাঁও বাঁশখালীর শারমিন, গাজীপুর চোরাস্তা এলাকার ফাতেমা ও ঢাকা মুগদা থানা এলাকার নিলা।

পিডিএস/আরডি