কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া
এক রশিতে পিতা-পুত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়ায় পিতা ও ৭ বছরের পুত্র সন্তানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল পুলিশ। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের নিজ ঘরে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, বিষ্ণুপদ রায়ের ছেলে রেজাউল করিম মধু (পূর্বের নাম মধুসূদন রায়) (৩৮) ও তার শিশুপুত্র মুগ্ধ হোসাইন (৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মৃত রেজাউল করিম মধু একজন সনাতন ধর্মাবলম্বি ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অমতে বছর দশেক আগে শেফালী বেগম নামের এক মেয়েকে ভালোবেসে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন। পরিবারের অমতে বিয়ে করে মধুর কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া বাজার এলাকায় ভাড়া করার বাড়িতেই বসবাস করতেন পরিবার নিয়ে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রেজাউল করিম মধুর সংসারে মুগ্ধ নামে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু আজ হঠাতই তাদের ঘরের ডাবে রেজাউল করিম মধু ও ছেলে মুগ্ধর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্ত্রী শেফালী খাতুন জানান, ছেলে মুগ্ধকে নিয়ে গত ১৫ দিন আমার মায়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। স্বামী মধুও মাঝে মধ্যে সেখানে যান। কিন্তু শনিবার সকালে ছেলে মুগ্ধকে স্কুলে ভর্তি করানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। বিকেল পর্যন্ত মোবাইল ফোনে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ পাই। পরে দরজা ভেঙে দেখি ঘরের ডাবে স্বামী ও ছেলের মরদেহ ঝুলে আছে।
ঘটনার পর পরই পিবিআই ও কুষ্টিয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি দে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে হয়ত বাবা মধু সুদন তার ছেলে সন্তান মুগ্ধকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তবে কি কারণে এবং কিভাবে তারা আত্মহত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, এ ঘটনায় ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সঠিক তথ্য জানা যাবে। এ সময় তার স্ত্রী শেফালি খাতুন বাড়িতে ছিলেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত পিতা-পুত্রের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।