কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

কসবায় ছাত্রী হত্যার রহস্য উন্মোচন

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই রত্নাকে হত্যা 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাদরাসা ছাত্রী হোসনে আরা ওরফে রত্না আক্তার (১৪) এর চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে কসবা থানা-পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেরা তাকে হত্যা করেছে বলে দুই সপ্তাহ পর থানা-পুলিশ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী নিমবাড়ি গ্রামের শাহাদাত হোসেন সাক্কু মিয়া (৬০) ও একই গ্রামের ইমন চৌধুরীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রত্না হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কসবা সার্কেল এএসপি দেলোয়ার হোসেন জানান, গত ১০ জানুয়ারি ভোরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের মো. নাসির মিয়ার মাদরাসা পড়ুয়া কিশোরী রত্না হত্যার শিকার হয়। ওই দিনই রত্নার বাবা বাদী হয়ে একই গ্রামের রতন মিয়াকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ রতন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও নানা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে নিমবাড়ি গ্রামে শাহাদাত হোসেন সাক্কু মিয়ার গ্রুপ ও রতন ভূঁইয়ার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলেছে। তাদের দ্বন্দ্বের জেরে রতন মিয়ার গ্রুপের রহিজ মিয়া ও রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফায়েজ মিয়া সাক্কু মিয়ার গ্রুপের লোকজনের হাতে নিহত হয়।

এরই মধ্যে শাহাদাত হোসেন সাক্কু মিয়াদের বিরুদ্ধে ওই দুটি হত্যা মামলা রায়ের পর্যায়ে রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রতন মিয়ার গ্রুপকে ঘায়েল করার জন্য নিজেরাই পরিকল্পনা মাফিক সাক্কু মিয়ার গ্রুপের সমর্থক নাসির মিয়ার মেয়ে রত্নাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে এই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাক্কু মিয়া ও ইমন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রত্না হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন বলেও জানান তিনি।

এএসপি দেলোয়ার হোসেন আরো জানান, জবানবন্দীর প্রেক্ষিতে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা ও মামলা তদন্ত অব্যাহত আছে। এবং রত্নার বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার রতন মিয়া আইনগত সহায়তা পাবেন।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,কসবা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close