পাবিপ্রবি প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে ফাটল 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) আবাসিক হলসহ বিভিন্ন ভবনের দেওয়াল এবং ছাদে ফাটল ধরা পড়েছে। ফাটলের পাশাপাশি ভবনের বিভিন্ন অংশে পলেস্তারা খসে পড়েছে ও রং উঠে গেছে। ছাদের নিচ দিয়ে প্রতিদিন অনিরাপদভাবে যাতায়াত করছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের নিচ তলায় ১০৫ নম্বর কক্ষে পলেস্তারা খসে ইট বের হয়ে গেছে। দ্বিতীয় তলায় ২০৩ ও ২০৪ নম্বর কক্ষের দেওয়ালে লম্বা ফাটল চির ধরেছে। এদিকে বিজ্ঞান ভবন ও প্রকৌশল ভবনের নিচ তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় সিড়ির পাশ দিয়ে দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়তে দেখা যায়। এদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ তলার করিডোরের পিলার ও বেষ্টনীর মধ্যে ফাটল দেখা যায়। চতুর্থ তলায় করিডোরের বেষ্টনীর পলেস্তারা খসে পড়তে দেখা গেছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নিচতলায় ও দ্বিতীয় তলায় পিলার সংলগ্ন দেওয়াল এবং ছাদে লম্বা ফাটল দেখা গেছে। ছাদের নিচ দিয়ে প্রতিদিন অনিরাপদভাবে যাতায়াত করছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাজের প্রধান ভবন হলো ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন ও প্রকৌশল ভবন। দৈনিক প্রায় চার থেকে সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য আসতে হয় এ সব ভবনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষকসহ প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ভবনে প্রতিদিন অবস্থান করে কাজ পরিচালনা করেন। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের পদচারণা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দ্বিতীয় তলায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে করিডোরের বেষ্টনীগুলো যখন ভাঙা হলো, তখন প্রতি আঘাতে পুরো ভবন কেঁপে উঠতো। এদিকে লিফট সংযোজিত করতে আবারো প্রতি ফ্লোরে ভাঙা হচ্ছে দেওয়াল। আগে থেকেই পরিকল্পনা মাফিক কাজগুলো করলে এ সব ভাঙতে হতো না এখন।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আল কাইয়ুম রাফিন বলেন, ‘নিচ তলা ও দ্বিতীয় তলায় প্রায় সব ফ্লোরের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত। হলের এই ফাটল বিশেষ করে ছাদের ফাটল শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এসব সংস্কারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ জানান, দশ তলা ফাউন্ডেশনের অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মিত হয়েছে পাঁচ তলা। তাই এখানে ওভারলোডের তেমন আশংকা নেই। তবে পিলার ও ভিমে ফাটল হলে সেটি অবশ্যই বিপদজনক। দেওয়ালের ছোটখাটো চির, ফাটল হরহামেশাই হয়ে থাকে। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,ভবনের দেওয়াল ফাটল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close