ইমাম হোসেন হিমেল, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
কলাপাড়ায় কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘কালু ও চান্দু’
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘কালু ও চান্দু’ নামের বিশাল দেহের দুটি ষাঁড়। ষাঁড় দুটির মালিক কৃষক সিদ্দিক মীর জানান, কালুর ওজন ১ টন এবং চান্দুর ওজন ২২ মন। যার বাজার মূল্য কালু ১১ লাখ টাকা আর চান্দুর ৭ লাখ টাকা হাঁকিয়েছেন তিনি। এবার দক্ষিণাঞ্চলে সাড়া ফেলবে কালু ও চান্দু—এমন ধরনা করছেন এলাকাবাসী।
কুয়াকাটা লাতাচালী থঞ্জুপাড়া গ্রামে শাহিওয়াল ও হলিস্টিন জাতের বিশালদেহী ষাঁড় কালু-চান্দুকে দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা ওই কৃষকের বাড়িতে আসছেন। ইতোমধ্যে কালুকে কিনলে সঙ্গে একটি খাসি উপহার দেওয়ার ঘোষণাও দেন এই খামারি সিদ্দিক ।
সিদ্দিক মীর পেশায় একজন কৃষক। তিনি জানান, ৪ বছর আগে থেকে দেশীয় একটি গাভীর সঙ্গে কালুকে ৮০ হাজার টাকা দামে কিনে পালন শুরু করে। পরের বছর জন্ম নেয় আর একটি ষাড়। এরপর আমি গরুর যত্ন নিই এবং পশু ডাক্তারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখি। বর্তমানে ওই গাভীটির আরো দুটি বাচ্চা আছে। সিদ্দিক মীর আরো জানান, তার প্রতিদিন খাবার লাগে প্রায় হাজার টাকার। এখন পর্যন্ত তিনি এদের পেছনে খরচ করেছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা।
ছিদ্দিক মীরের বড় ছেলে বলেন, প্রথমে আমরা একদম ভাবিনি যে ওই বাচ্চা দুই এত বর হবে। উত্তর অঞ্চলের গরুর খামারে যেসব বড় বড় গরু দেখি সেই রকম গরু এখন আমাদের বাড়িতেও। এটা ভেবে খুব ভালো লাগে।
আলমগীর হোসেন নামের এক প্রতিবেশী বলেন, আমরা এই এলাকায় এ রকম ষাঁড় আর দেখিনি। গত কয়েকবছরেও এই এলাকায় তৈরি হয়নি, তাই বেশ ভালো লাগছে এবং অনেক লোক এগুলোকে দেখতে এসেছে। আমরা প্রতিবছর বাজারে এত বড় ষাঁড় আসলে দেখতে যেতাম কিন্তু এখন নিজের এলাকায় দেখছি।
কলাপাড়া উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গাজী শাহ আলম বলেন, কৃষক সিদ্দিকের এই ষাঁড় দুটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম। তার পরিশ্রমকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাকে অনুসরণ করে যারা পশু পালনে আগ্রহী হচ্ছে তাদেরকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। এ বছর উপজেলায় সর্বমোট কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৯৮২টি পশু।
পিডিএস/এএমকে