সোহেল, আনোয়ারা প্রতিনিধি

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

বেড়েছে আনোয়ারার বিভিন্ন ইউনিয়নে চুরি ও ছিনতাই 

চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা 

ছবি : সংগৃহীত

আনোয়ারার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ অঞ্চলে চুরি ও ছিনতাই বেড়েছে। গভীর রাতে হানা দিচ্ছে চোরের দল। ঘটছে গরু চুরি, মোটরসাইকেল চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ।’ এসব ঘটনা থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাত জেগে এই পাহারার ব্যবস্থা করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূশ শাহ্।

উপজেলার বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূশ শাহ্র বিশেষ একটি টিম রাতে গ্রামে গ্রামে পাহারা দিচ্ছে। এ টিমের সদস্যরা প্রতিরাতে লাঠি, টচলাইট হাতে নিয়ে বাঁজাচ্ছেন বাঁশি আর বলছেন ‘সাবধান, সাবধান’। এলাকায় সন্দেহজনক কাউকে দেখলে পরিষদের হটলাইন নাম্বার ও থানায় জানানোর জন্য জানান দিচ্ছেন এ টিমের সদস্যারা। ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে ঘুরে দিচ্ছেন এলাকাবাসীর নিরাপত্তা।

স্থানীয়রা জানান, এলাকার বিভিন্ন স্থানে কিছুদিন আগে থেকে বেড়ে গেছে গরু চুরি, মোটরসাইকেল চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। অনেকের বাড়ি ও দোকান থেকে গেইটের তালা কেটে ঘটছে চুরির ঘটনা। তবে এসব ঘটনায় চোররা ধরা পড়ে না, চুরির ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগও করে না। এতে করে চোরের দল থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কোনোভাবেই তাদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। এসব ঘটনা থেকে রেহাই পেতে চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূম শাহ্ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তিনি প্রতি এলাকায় গ্রাম পুলিশের পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া তিনি নিজেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং নিচ্ছেন প্রতি এলাকার খোঁজখবর।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৬২) নামে এক বৃদ্ধ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময়ে আমরা দেখে ছিলাম চৌকিদাররা এভাবে পাহারা দিতে, এরপর আর কখনো দেখিনি পাহারা দিতে। চেয়ারম্যানের এই উদ্যোগের জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। মানুষ এখন ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে পারবে। থাকবে না কোনো চোরের ভয়।

বারশতের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষা করাও একজন জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কঠোর নির্দেশ রয়েছে- এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার। বারশতের চুরি ঠেকাতে পরিষদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে পাহারার ব্যবস্থা। তিনি আরো বলেন, ‘আপনি ঘুমান, আপনার বাড়ি পাহারার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের’ এই স্লোগানে নয়টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও দফাদারদের নিয়ে গ্রামে পাহারা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি নিজেও গিয়েছি এবং সবাইকে বলেছি, আমার মোবাইল ফোন খোলা রয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে আমাকে ফোন দিয়ে জানান। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চুরি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close