তাজাম্মূল হুসাইন, মনিরামপুর (যশোর)

  ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

দারিদ্র্য হার মেনেছে রিত্তিকার কাছে

বাবা-মায়ের সঙ্গে মেধাবী রিত্তিকা রানী। ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

দারিদ্র্য হার মেনেছে রিত্তিকা রানীর কাছে। শত অভাব অনটনের মধ্যেও সে যশোর বোর্ডের অধীন মনিরামপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা খানপুর কলেজ থেকে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে রিত্তিকা এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছে।

রিত্তিকা মনিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের হতদরিদ্র দিলীপ কর ও লিপিকা রানীর মেয়ে, তাদের তিন সন্তানের মধ্যে রিত্তিকা দ্বিতীয়।

রিত্তিকার বাবা পেশায় দিনমজুর, কর্মকারের কাজ করেন। জমি-জমা বলতে ভিটে-বাড়ির ৪ শতক জমি। সেখানে ছাপড়া ঘরেই তাদের বসবাস। তিন ছেলে-মেয়েকে পড়ালেখা শেখাতে দিনমজুর পিতা-মাতাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। মা লিপিকা রানী কাঁথা সেলাই, হাঁস-মুরগী পালন, গরুর গোবর দিয়ে জ্বালানি তৈরি করে বিক্রি করে অনটনের সংসারে সহযোগিতা করেন।

লিপিকা রানী বলেন, আমার তিন সন্তানই লেখাপড়ায় ভালো। ওদের জন্যে দিনরাত কষ্ট করছি। ভালো কাপড়-চোপড় দিতে পারি না, সময় মতো দু’বেলা খাবার দিতেই হিমসিম খেতে হয়। মেয়ে ভালো রিজাল্ট করেছে। এখন যে কোথায় পড়বে, কোথায় টাকা-পয়সা পাবো। তাই নিয়ে চিন্তায় আছি।

রিত্তিকার বাবা দিলীপ কর বলেন, বড় ছেলেডা কষ্ট করে লজিং-টিউশনি করে লেখা-পড়া করছে। মেয়েটাকে নিয়ে চিন্তায় আছি।

রিত্তিকার প্রতিবেশি অধ্যাপক এসএমএ মতিন বলেন, কোনো প্রতিবন্ধকতা রিত্তিকাকে বিচ্যুত করতে পারিনি। নিরলস অধ্যবসায় ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে যে সবকিছু অর্জন করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রিত্তিকা।

কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান শাহীন বলেন, রিত্তিকা অসম্ভব মেধাবি, শুধু একাডেমিক রেজাল্টে নয়, সহপাঠ্যক্রমিক বিষয়েও সে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছে। তাকে সহযোগিতা করতে পারলে সে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমি আমি তার সাফল্য কামনা করি। রিত্তিকাকে সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৭৩৫-৭৯২২৫২ ( বিকাশ) এই নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দারিদ্র্য,রিত্তিকা রানী,দারিদ্র্য হার মেনেছে
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close