reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩

দিনাজপুরের সেই ঘটনায় ১২শ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট চুনিয়াপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘটিত হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত ১২শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে মামলাটি করেন উপজেলার ৪ নম্বর ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য সুশীল চন্দ্র দাস।

এই নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, বাড়িঘরে হামলা, আগুন লাগানো, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশ সদস্য অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও জানান, শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে খোদাদাতপুর গ্রামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গ্রামের দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, বাড়িঘরে আগুন লাগানো, ভাঙচুর, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট এবং গরু-ছাগল চুরির ঘটনায় প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

খোদাদাতপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে গত বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় মনোয়ার হোসেন (২৪) ও রাকিব হোসেন (২৫) নামের দুজন নিহত হন। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে দুজনের জানাজা চলছিল। এ সময় নিহত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন চুনিয়াপাড়ায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে অগ্নিসংযোগ করেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেছেন। অগ্নিসংযোগকালে লোকজন লাঠিসোঁটা, দা ও কোদাল নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালান। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে নারী, শিশু ও পুরুষেরা বাড়িঘর ছেড়ে দৌড়ে পালান।

মামলার এজাহারে বাদী সুনীল চন্দ্র দাস উল্লেখ করেছেন, নিহত দুজনের জানাজা ও দাফনকাজে উপস্থিত খোদাদাতপুর ও পাশের গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা, দা ও কোদাল নিয়ে চুনিয়াপাড়ায় প্রতিপক্ষের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িঘরে হামলা চালান। এ সময় সেখানে উপস্থিত থানা-পুলিশসহ গ্রাম পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা করেন। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকালে হামলাকারীরা চুনিয়াপাড়ার আবদুস সালাম, তোতা মিয়া, নুরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমানের বাড়িসহ আশপাশের কিছু টিনের বসতবাড়ি এবং বাড়ির সামনে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেন। এ ছাড়া নজরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আবদুল ওহাব, মোগেন ওরফে মকবুল হোসেনের বাড়িসহ ২০ থেকে ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়িঘরে আগুন লাগানো, ভাঙচুর, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট এবং গরু-ছাগল চুরির ঘটনায় প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। পরে পার্শ্ববর্তী থানাগুলো থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দিনাজপুর,ঘোড়াঘাট,চুনিয়াপাড়া,আগুন,লুটপাট,মামলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close