শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
চোর সন্দেহে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
মাগুরার শালিখায় চোর সন্দেহে এক শিক্ষার্থীর পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে ও হাতুড়পেটা করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার সজিব মোল্লা (১২) ছান্দড়া গ্রামের কোহিনুর মোল্যার ছেলে ও ছান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, ছান্দড়া গ্রামের চৌরাস্তা মোড়ের মুদি ও মুরগির ব্যবসায়ী হাসান তার দোকানে চুরির দায়ে সজীব নামে এক শিক্ষার্থীকে রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে। এসময় তার পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতুড়পেটা করে। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাসানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আহত সজিবের বাবা কোহিনুর মোল্যা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে সজিব ছান্দড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে যায়। এসময় এলাকার মুদি দোকানদার হাসান তাকে ডেকে নিয়ে একটা ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে। তারা তার পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। পরে খবর পেয়ে শালিখা থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সজিবের চাচা জয়নুল জানান, কয়েক দিন আগে ছান্দাড়া চৌরাস্তার পাশে হাসানের মুদি দোকানে চুরি হয়। এই চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে আমার ভাতিজাকে হাসান তার দোকান ঘরে আটকে রেখে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। শুধু তাই নয় নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে ভিডিও ধারন করে স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান বলেন, সজিবকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও সজিবের পায়ে ও শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শালিখা থানা ওসি বিশারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শোনামাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। তবে এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার থেকে কোন অভিযোগ না পাওয়ায় অভিযুক্ত হাসানকে আইন ১৫১ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।