টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি :

  ২২ জানুয়ারি, ২০২৩

বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছেন মানবতার ফেরিওয়ালা ওস্তাদ ইবিট লিও

ছবি : সংগৃহীত।

আলোচিত ইউটিউবার ও ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মানবতার ফেরিওয়ালা ওস্তাদ ইবিট লিও বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে তিনি তার ভেরিফাই ফেসবুক পেইজে লিখেন (Doakan saya nak balik Malaysia. Terima kasih orang Bangladesh yang memberi layanan sangat baik. You are forever in my heart no matter the distance or the time, we are brothers.) অর্থাৎ আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি মালয়েশিয়াতে ফিরে যাচ্ছি। আমি আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের মানুষদেরকে। আমাকে এত আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা দেয়ার জন্য ৷ আমি যত দূরেই থাকি না কেন আপনারা সবাই আমার অন্তরে আছেন এবং থাকবেন ৷ আমরা সবাই একটি পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মূলত ইবিট লিও আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত থাকার জন্য আসেনি তিনি সর্ববৃহৎ জুম্মার নামাজে অংশ নেয়ার জন্য এসেছিলেন। তিনি আসার সময় রিটার্ন টিকেট কেটে নিয়ে তারপর বাংলাদেশে আসেন।

তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতেই তার ফ্লাইট। আমাদের কাছে থাকা তথ্য মতে রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি এয়ারপোর্টের ভিআইপি লঞ্চে অবস্থান করছেন। তাকে অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছিল থাকার জন্য কিন্তু মালয়েশিয়া তার বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততা থাকায় তিনি থাকতে পারেননি।

ওস্তাদ ইবিট লিও, বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে সরাসরি টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে নিয়ে আসা হয় তাকে। এরপর গত (১৯ জানুয়ার) বৃহস্পতিবার সকালে টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় খোলা রিকশায় ঘুরতে দেখা যায় তাকে। শুক্রবার সকালে এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্রের রান্না করা খাবার বিতরণ করেন তিনি। একই দিন টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে অসহায় হতদরিদ্রদের সঙ্গে খুনসুটিও করতে দেখা যায় তাকে।

আলোচিত দাঈ ইবিট লিও একজন মালয়েশিয়ান চাইনিজ মুসলিম। তিনি মালয়েশিয়ার মুসলিম উদ্যোক্তা এবং ধর্ম প্রচারক হিসেবে সব মহলে ইবিট লিও নামে পরিচিত। তার পুরো নাম-ইবিট ইরাওয়ান বিন ইব্রাহিম লিও।

১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন। তার পিতার নাম মুয়াডজম শাহে লিউ ইউ পাউ। ১১ জন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। দ্বীনকে অনুসরণ করে ১২ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

সুদর্শন সুন্নতি দাঁড়ি, ক্যাপ এবং কুর্তায় জনপ্রিয় এই ওস্তাদ ইবিট লিও তার পারিবারিক অনুপ্রেরণায় মানব কল্যাণ ও ইসলামি দাওয়াতের কাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

‘মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য’ বিখ্যাত এই উক্তিটি যেন মিলে যায় ওস্তাদ ইবিট লিও’র সঙ্গে। একজন সমাজসেবক ও ধর্ম প্রচারক সৎ, ন্যায়-নীতিবান, উদার সমাজ সংস্কারক মালয়েশিয়ায় সর্বপরিচিত। দেশটির সুশীল সমাজ, তরুণ-নবীন, যুব-প্রবীণ সমাজে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।

ইবিট লিও ২০১৫ সালে মওলিদুর রসুল জাতীয় পুরস্কার এবং ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় যুব দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সমাজ বিনির্মাণে এবং মহামারি করোনার সময়ে মানব কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় যুব দিবসের বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।

এ ছাড়াও মানব কল্যাণে অবদান রাখায় সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মানবতার ফেরিওয়ালা,ওস্তাদ ইবিট লিও
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close