গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি

  ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২

তালিকা জমা দেয়নি ৩ ইউনিয়ন

গঙ্গাচড়ায় খাদ্য কর্মসূচির ১১০৯টি কার্ড বাতিলের শঙ্কা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১১০৯টি কার্ড বাতিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ইউপি চেয়ারম্যানদের একাধিক তাগিদাপত্র দেওয়ার পরও তালিকা জমা না দেওয়ায় এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র জনসাধারণকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৯টি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ২৭০টি পরিবারকে সুলভমূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে দেশব্যাপী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভোক্তাদের ডিজিটাল ডেটাবেইস হালনাগাদ করা হয়। ডিজিটাল ডেটাবেইস হালনাগাদ করার সময় বিভিন্ন কারণে অনেক ভোক্তার কার্ড বাতিল হয়ে যায়। বাতিল করা ভোক্তাদের স্থলে নতুন ভোক্তা বাছাই করে অন্তর্ভুক্ত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ অক্টোবর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ১৯ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যানদের নতুন ভোক্তা নির্বাচন করে তালিকা ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য পত্র দেন। এর পরও ইউপি চেয়ারম্যানরা তালিকা দিতে দেরি করায় তাগিদাপত্র আবার দেওয়া হয়। এর পরও ৩টি ইউনিয়নের তালিকা জমা না হওয়ায় ৭ ডিসেম্বরের পর তা বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইউনিয়নভিত্তিক বরাদ্দ অনুযায়ী বেতগাড়ীতে ২৩৫টি, বড়বিলে ২৫৭, কোলকোন্দে ২৫৪, গঙ্গাচড়ায় ৩৫৯, লক্ষ্মীটারীতে ২৪৪, গজঘণ্টায় ২৮০, মর্নেয়ায় ৪৩৯, আলমবিদিতরে ৪২৬ ও নোহালীতে ৩০৮টি বাদ পড়ে।

নতুন ভোক্তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে ডিসেম্বর শুরুতে ৬টি ইউনিয়ন তালিকা জমা দেয়। তবে লক্ষ্মীটারী, মর্নেয়া ও আলমবিদিতর ইউনিয়ন তালিকা জমা দেয়নি। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডেটাবেইস করতে না পারলে ওই ৩ ইউনিয়নের ১১০৯ জন ভোক্তার এ সুবিধা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তালিকা জমা না দেওয়া ওই ৩ ইউপি চেয়ারম্যান জানান, ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা তালিকা জমা দেবেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রইস উদ্দিন বলেন, ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইন ডেটাবেইস শেষ করতে না পারলে ওই ৩ ইউনিয়নের ভোক্তারা এ সুবিধা থেকে বাদ পড়তে পারেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রংপুর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close