পটুয়াখালীতে ফয়সাল আকন (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রের সামনে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের আবদুল করিম মৃধা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ফয়সাল সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের হাজিখালি গ্রামের বেল্লাল আকনের ছেলে। তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

আহত শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, আমি জীববিজ্ঞান ২য় পত্র পরীক্ষা দিতে আবদুল করিম মৃধা কলেজের কেন্দ্রে যাই। পরীক্ষা শেষে বের হলেই কেন্দ্রের গেট থেকে আমাকে ৫/৬ জন লোক জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় ডাক-চিৎকার দিলে তারা আমাকে মারধর শুরু করেন। এসময় জসিমের (২২) কাছে থাকা ছুরি দিয়ে আমাকে কুপিয়ে আহত করেন। এতে হাত ও পিঠে জখম হয়েছে। পরে কলেজের প্রিন্সিপালের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। কেন তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে, এ বিষয়ে জানেন না ফয়সাল।

পটুয়াখালী আবদুল করিম মৃধা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ.ন.ম. সাইফুদ্দিন বলেন, আহত ওই শিক্ষার্থীকে দ্রুত উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার হাতে বেশি জখম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে কলেজের বাইরে। তবে ওই শিক্ষার্থী দৌড়ে আমার কক্ষে আসে। এতে আমার কক্ষ এবং কলেজের বারান্দায় অনেক রক্ত পরে আছে।

আহত ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখতে আসেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। এসময় পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাজী জাফর ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে কলেজের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই শিক্ষার্থীর রবিবারে কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা রয়েছে। তার হাত দিয়ে পরীক্ষা দিতে না পারলে নিয়ম অনুযায়ী বিকল্পভাবে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, ফয়সালের পিঠে ও ডান কাঁধে কোপের আঘাত রয়েছে।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।