চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৯ নভেম্বর, ২০২২

থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়, অসন্তোষ

চিলমারীর থানাহাট ইউনিয়নে এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

কুড়িগ্রাম চিলমারীতে থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে প্রতিবাদ করলে প্রথম পরীক্ষা পর্যন্ত ফি আদায় স্থগিত করা হয়।

জানা গেছে, এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরিক্ষা ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়। পরীক্ষায় খরচ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়টি সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায়ে নোটিশ প্রদান করে। নোটিশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি কৌশলে বিগত বছরের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সেশন ফি, বেতন ও পরীক্ষার ফি আদায় করে। এর মধ্যে সেশন ফি নির্ধারণ করা হয় ৮০০ টাকা, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর ৪০০ টাকা ও বেতন সকল শ্রেণীর ৬০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়।

তথ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ১১৭ জন, ৭ম ১৫৩ জন, ৮ম ১৩৪ জন ও ৯ম এ ৭৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সে হিসেবে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা হারে মোট ৪৬ হাজার ১৭ টাকা, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর ৪০০ টাকা হারে ৮৫ হাজার ২০০ টাকা, মোট ৪৮৩ জন শিক্ষার্থীর সেসন ফি ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০ ও বেতন ২৮ হাজার ৯৮০ টাকাসহ মোট ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৭ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করে।

এদিকে অতিরিক্ত ফি নির্ধারণ করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে প্রতিবাদ করেন। পরে ফি আদায় স্থগিত করে ২৮ তারিখের পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা মোছা. শেফাউন্নাহার। তিনি জানান, ফি নির্ধারণের বিষয়টি বর্তমান সভাপতি জানেন না। এর আগের সভাপতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি নিয়েছেন। ফি প্রদানের বিষয়টি পুন:নির্ধারণ করা হবে।

অভিভাবক রহিম বলেন, কলেজের পাবলিক পরীক্ষা স্কুলে নেওয়ার কারণে নভেম্বরে পাঠদান বন্ধ থাকে। এছাড়া বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ক্লস নেওয়া হয় না। অথচ ফর্ম ফিল আপ ও পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে। ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থী লিমন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না। দুই মাস ধরে পাবলিক পরিক্ষার কথা বলে স্কুল বন্ধ ছিল। এবার তো কলেজ শাখার পরীক্ষা আমাদের এখানে নেওয়া হচ্ছে। রাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এ বছর ব্যাংকের মাধ্যমে পরীক্ষার যাবতীয় টাকা আদায় করার কারণে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ফি দিতে বাধ্য করেছেন। ফলে অনেকেই এই টাকা দিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও চিলমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমানের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,চিলমারী,থানাহাট ইউনিয়ন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close