জসিম উদ্দিন নাগর, ডিমলা (নীলফামারী) :

  ২২ নভেম্বর, ২০২২

উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ, ডিমলায় তহসিলদারকে আটকে রেখে প্রতিবাদ

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) নূর আলমের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগ করে তাকে অফিসেই আটকে রেখে প্রতিবাদ করেছেন ভুক্তভোগীরা। সোমবার (২১ নভেম্বর) এসব অভিযোগে তারা নূর আলমের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন সরেজমিনে ইউনিয়নবাসীর অভিযোগ শুনেন এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা নূর আলমের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ এর নির্ধারিত ফি বাদে অতিরিক্ত উৎকোচ গ্রহণ করে খাজনার রশিদ/চেক প্রদান করেন ওই তহসিলদার। উৎকোচ ছাড়া তিনি খাজনার রশিদ কাটেন না। ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা তার কাছে অসহায়। কারণ আমরা অনেকে জমিজমার বিষয়ে অজ্ঞ।

দলিল রেজিষ্ট্রেরির জন্য খাজনার রশিদ/চেক প্রয়োজন। বাধ্য হয়ে মানুষ তার ফাঁদে জিম্মি হয়ে পড়ে। তার কথামত খাজনার ফি’র সাথে উৎকোচ না দিলে খাজনার চেক/ রশিদ দিতে টালবাহানা করে। নানাবিধ অজুহাত ও সমস্যা দেখায়। এলাকাবাসীরা আরও অভিযোগ করেন, এসএ রেকর্ড হিন্দুদের নামে থাকা অথবা বিএস রেকর্ড ১/১ খতিয়ানে গেলেও বেশি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। আর যতসামান্য টাকার খাজনার চেক/রশিদ দেন।

অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়নের কালীগঞ্জ মৌজার মনিরুজ্জামান বিটুলের নিকট হতে ১ একর জমির জন্য ১৩৭৯ হতে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ৭৩২ টাকার খাজনার চেক/ রশিদ প্রদান করেন। কিন্তু তার নিকট ৫৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন তহশিলদার নূর আলম।

কালীগঞ্জ মৌজার তছিরউদ্দিন নামে আরেক ব্যক্তির নিকট থেকে বি এস ১/১ খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ৯৭ শতাংশ জমির খাজনা বাবদ ৭৪৭ টাকা ও ১ একর ২৪ শতাংশ জমির খাজনা বাবদ ৯২২ টাকার ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণের চেক/রশিদ প্রদান করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন ওই তহশিলদার।

এছাড়াও সরকারি খাসজমি কবলিয়ত বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে তিনি অনেকের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নীলফামারী,তহসিলদার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close