গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতীক, বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজকল্যান মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্র একজন বাঙালি নারীর সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি, যাকে দেখলে একজন বাঙালি নারী কেমন, সেটি দেখা যায়। যার সঙ্গে কথা বললে একজন বাঙালি মা কেমন সেটি জানা যায়, একজন বাঙালি কন্যা ও বধূ কেমন সেটি বোঝা যায়।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ললাটে যত অর্জন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গত কয়েক দশকে তা অর্জিত হয়েছে। শেখ হাসিনা ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আজকে তিনি ছাত্রনেতা থেকে বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা শিশুকাল থেকেই সংগ্রামের মধ্যে। তার জন্মের সময় পিতা সেখানে ছিলেন না, বিয়ের সময় পিতা সেখানে ছিলেন না, তার প্রথম সন্তান জন্মের সময় তার পিতা কারাবন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন অন্তরীণ। সেই অন্তরীণ জীবনের সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাবাকে তিনি পাননি। তাই শৈশব থেকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন শেখ হাসিনা। যেখানে পরিণত বয়সেও কারও পিতা মৃত্যুবরণ করলেও সন্তানের মেনে নিতে কষ্ট হয়, সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা একদিনে হঠাৎ মা, বাবা, ভাই-ভাবি, আত্মীয়-পরিজন সবাইকে হারিয়ে বাংলাদেশের সব মানুষকে আপনজন করে নিয়েছেন।’

সমাজকল্যান মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্ম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে আরও দীপ্তপদভারে তিনি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এটি একজন শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। আমি মনে করি, বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও এত দুর্ঘটনার পর এরকম নেতৃত্ব দেওয়া সহজ নয়।’

মহিষখোচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আনিছার রহমান আনিছের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা রাকিবুজ্জামান, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রবিউল ইসলাম মানিক, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। পরে দ্বিতীয় পর্বে মহিষখোচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আগামী তিন বছরের জন্য আনিছার রহমান পুনরায় সভাপতি ও আব্দুল মান্নান কামালকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।