নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নন্দীগ্রামে গরুর ল্যাম্পি স্কিনের সংক্রমন

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় গরুর ‘ল্যাম্পি স্কিন’ নামে ভাইরাস জনিত সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলএসডি রোগটি একধরনের চর্মরোগ হলেও এতে গরুর মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। এই রোগ মানুষের মধ্যে না ছড়ালেও গরুর ক্ষেত্রে এটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ। সাধারণত বর্ষার শেষে শরতের শুরুতে অথবা বসস্তের শুরুতে মশা-মাছির বংশবিস্তারের সময় রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগে আক্রান্ত গরু-বাছুর প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় ও একপর্যায়ে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। জ্বরের সঙ্গে মুখ ও নাক দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। একপর্যায়ে আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন জায়গার চামড়া পিন্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্ট হয়। ধারাবাহিকভাবে এই ক্ষত শরীরের অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। গরু ঝিম মেরে থাকে ও কাঁপতে শুরু করে। কিডনির ওপর প্রভাব পড়ার ফলে গরু মারাও যায়।

জানা গেছে, উপজেলার গুন্দইল, কৈডালা, হাটলাল, গোছন, কালিকাপুর, জামালপুর, ভাদরা, হাটুয়া, ডেরাহার, কাথম, হরিহারা, তৈয়বপুর, কহুলি, নন্দীগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে গরু ‘ল্যাম্পি স্কিন’ নামে ভাইরাস জনিত সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। দিনদিন এ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত গরুর এ রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করবে বুঝতে পারছেন না তারা।

উপজেলার গুন্দইল গ্রামের খামারি ইসমাঈল হোসেন বলেন, তারসহ ওই গ্রামের অনেক গরুর গায়ে বসন্তের মতো গুটি বের হয়েছে।‘ আমার ৫টা গরুর মধ্যে ৩টি গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। গরুগুলো নিয়ে আমরা সবাই খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা: শরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলাজুড়ে ‘ল্যাম্পি স্কিন’ নামে ভাইরাস জনিত রোগ কিছু গ্রামে হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ রোগের কোন ভ্যাকসিন নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই উপজেলায় কতোগুলো গরু আক্রান্ত হয়েছে তা জরিপ করা হয়নি। তবে এখন ভাইরাস জনিত এই রোগ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নন্দীগ্রাম,গরু,ল্যাম্পি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close