নওগাঁ প্রতিনিধি

  ০৭ জুলাই, ২০২২

নওগাঁর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম, বেচা-কেনা কম

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই দিন। এ সময় মার্কেটে ক্রেতার চাপ বাড়ার প্রত্যাশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। অথচ সেভাবে জমে ওঠেনি নওগাঁয় ঈদের কেনাকাটা। গত এক সপ্তাহ থেকেই ঢিলেঢালা গেলেও শেষ সময়ে ক্রেতাদের সমাগম হবে এমন প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরে কাপড়পট্টি, গীতাঞ্জলি শপিং প্লাজা, জহির প্লাজা, শুভ প্লাজা, ইসলাম মার্কেট, দেওয়ান বাজার, কুমারখালি বস্ত্রালয়, ইসলাম মার্কেট, জলিল গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি জমকালো পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসে আছে দোকানিরা। তবে কেনাকাটায় মার্কেট ও বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের আগমন খুব একটা নেই বললেই চলে। কিছু ক্রেতা পাওয়া গেলেও বিত্তবান পরিবার ছাড়া সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনেকাংশেই কম।

বিক্রেতেরা বলছেন, ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহায় এমনিতেই বেচাকেনা কম হয়। সবাই কোরবানি কেনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু অন্যান্য কোরবানির ঈদের তুলনায় এবারের বিক্রি অনেক কম।

শিলামনি গার্মেন্টস মালিক নেপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, কোরবানি ঈদে খুব একটা বেচাকেনা হয় না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেনাকাটা কম মানুষই করেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব আত্মীয় স্বজন আসছে তাদেরকে উপহার হিসাবে কিছু কেনাকাটা করছেন। তবে যেটুকু বেচা-কেনা হচ্ছে সুতি পোষাক। তবে ঈদুল ফিতরের চেয়ে কম দামেই পোশাক বিক্রি করছি। কারণ হিসেবে বলেন, বেশির ভাগেরই ঝোঁক কোরবানির পশুর দিকে তাই।

লক্ষ্মী বস্ত্রালয় শিবেন শর্মা বলেন, ভালো না বেচা-কেনা। পণ্যের দাম বেশি। কোরবানির ঈদে কাপড় একটু কমই বিক্রি হয়। আমরা প্রতিদিন যে টার্গেট নেই সে পূরণ হবে না। ব্যবসার টিকে রাখতেই চুপচাপ বসে থাকা। আবার অনেক ক্রেতা দাম শুনেই চলে যাচ্ছে। হয়তো তাদের বাজেটে মিলছেনা।

জলিল গার্মেন্টস প্রোপাইট আব্দুল জলিল বলেন, বেচা কেনা খুব খারাপ। গাওন বা টপস একটু বিক্রি হচ্ছে। এখনো দুইদিন বাকি আছে, আশা করছি এই দুই দিনের বেচাকেনা ভালো হবে। যে লাভ না করলেই নয় সেই লাভেই বিক্রি করার চেষ্টা করছি পোশাকগুলো। তবুও অনেক ক্রেতা পোশাক দেখে দাম শুনেই চলে যাচ্ছে। কাপড় ব্যবসায়ী রায়হান হোসেন বলেন, কোরবানি ঈদে সেরকম ব্যবসা হয় না। সবাই কোরবানি কেনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। ঢাকা থেকে যে পণ্য নিয়ে এসেছি সেসব বিক্রি হচ্ছে না।

জেলার রাণীনগর থেকে এসেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। এসময় তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন সন্তানদের জন্য পোশাক কেনার জন্যই তিনি মূলত এসেছেন। ছোট বাচ্চাদের পোশাক প্রচুর দাম। কষ্ট হলেও বাড়ির শিশুদের জন্য নতুন পোশাক কিনলাম।

নিলুফার জাহান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আমার দুটি মেয়ের জন্য পোশাক কিনতে এসেছি। অনেক দোকান ঘুরছি এখনো কিনতে পারি নাই। অনেক দাম মেয়েদের পোশাকের। যদি দাম কিছুটা কম পাই তবে কিনবো।

আকরাম হোসাইন বলেন, এই ঈদ হচ্ছে পশু কেনার ঈদ, জামাকাপড় কেনার নয়। এই ঈদে পোশাক কেনা লোকের সংখ্যা খুবই কম। আমিও কিনতাম না, শুধু আমার বাচ্চা মেয়েটা আবদার করেছে ঈদে নতুন জামা লাগবে। তাই কিনে দিচ্ছি।

নওগাঁ জেলা গার্মেন্টস খুচরা বিক্রেতা মালিক সমিতি সভাপতি নাসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যে পণ্য ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা নিয়ে এসেছে সেই পণ্য বিক্রি করতে পারছে না। আর মাত্র দুই দিন বাকি আছে। এখন যারা কেনাকাটা করছে শিশুদের জন্য কেনাকাটা করছে। বেচাকেনা খুব খারাপ। ব্যবসায়ীরা চিন্তায় পরেছে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীনে পড়বে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নওগাঁর মার্কেট,কোরবানি,ঈদ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close