কে এম রুবেল, ফরিদপুর
পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় পশুর হাট বন্ধ করলেন ইউএনও
শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে ফরিদপুরের সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসানো বন্ধ করলেন সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিংবডির সভাপতি মোছা: তাছলিমা আকতার।
শনিবার (৪ জুলাই) বিকাল ৫টায় শিক্ষক, হাট কমিটি, ইজারাদারদের ডেকে মিটিং করে স্কুল মাঠে গরু-ছাগলের হাট না বসানোর অনুরোধ করেন তিনি।
এর আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান স্কুল মাঠে গরুর হাট না বসানোর জন্য ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান বলেন, বহুদিন ধরে সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসানো হয়েছে। ফলে স্কুলের লেখাপড়ার পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, একদিকে করোনার কারণে স্বাস্থবিধি মেনে চলা অন্যদিকে গরুর হাট। সব মিলিয়ে স্কুল পরিচালনা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিয়েও আমরা শঙ্কিত। এমতাবস্থায় ওই গরুর হাট বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। তাই আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী বরাবর লিখিত আভযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিংবডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: তাছলিমা আকতার বলেন, শনিবার দুপুরে স্কুল পরিদর্শন করে সরেজমিনে স্কুল মাঠের পরিবেশ এবং ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। এরপর বিষয়টি নিয়ে স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী, হাটের ইজারাদার ও হাট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন মাঠে পশুর হাট কোনোভাবেই কাম্য নয়। আসন্ন কোরবানির বিষয়টি সামনে রেখে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাঠ ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া আছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, ডিডিএলজি ও পুলিশ সুপারকেও জানানো হয়েছে। ফলে রবিবার (৩ জুলাই) সালথা থানার ওসি বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট সরিয়ে ফেলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।
এ ব্যাপারে সালথা হাটের ইজারাদার ও সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, বহুদিন ধরে সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসানো হয়েছে। তবে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ইউএনও নিষেধ করে দেওয়ায় তিনি আর স্কুল মাঠে গরুর হাট বসতে দেননি।