গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ

  ০১ জুলাই, ২০২২

জমে উঠেছে পশুর হাট

বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর দাম বেশি

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে পশুর হাট জমে উঠছে। ইতোমধ্যেই জেলার হাটগুলোতে পশু আসতে শুরু করেছে। জেলার কালিয়া কান্দাপাড়া, তালগাছী, রতনকান্দি, কামারখন্দ, এনায়েতপুর, সলঙ্গা, জনতার হাট, গ্যাস লাইন, শমেশপুর সহ বড় বড় হাটগুলোতে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার আসতে শুরু করেছে।

করোনাকালীন গত দুই বছরের তুলনায় এবছর গবাদি পশুর দাম ভালো পাবেন বলে আশা করছেন খামারিরা। তবে এখনো স্থানীয় কোরবানিদাতারা পশু কিনতে নামেননি। তারা হাটে আসতে শুরু করলে দাম আরো কিছুটা বাড়তে পারে বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেন।

কয়েকজন খামারি জানান, দেশের বাইরে থেকে গবাদি পশু না এলে এবছর তারা ভালো লাভের আশা করছেন। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন হাট ও ক্রেতা বিক্রেতা সূত্রে জানা গেছে, বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) কালিয়া কান্দাপাড়া হাটে গরু কিনতে আসা ফরিদুল ইসলাম জানান, ৭০ হাজার টাকায় গরু কেনা হয়েছে। এবারে গরুর দাম একটু বেশি। তার দাবি, বাইরের গরু না আসায় গরুর ভালো চাহিদা রয়েছে। তবে বড় আকারের তুলনায় মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর দাম বেশি।

জেলা পশু সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, এবছর জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার। সে তুলনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৯১ হাজার পশু। সেক্ষেত্রে জেলার চাহিদা মিটানোর পর বাকি পশু রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের খামারি বলেন, এবছর তিনি ১২টি গরু মোটাতাজা করেছেন। ইতোমধ্যে হাটেও তুলেছিলেন কয়েকটি, কিন্তু পছন্দমতো দাম না হওয়ায় বিক্রি করেননি। তিনি বলেন, কোরবানির এখনও ৯/১০ দিন বাকি আছে। স্থানীয়রা পশু কেনা শুরু করেনি। তারা হাটে এলে আরো ভালো দাম পাওয়া যাবে।

কালিয়া গ্রামের খামারি ছামাদ জানান, খাবারের দাম বেশি হওয়ায় তার গবাদি পশু মোটাতাজা করতে খরচ বেশি পড়েছে। সরকারিভাবে যদি খামারিদের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে খাবার সরবরাহ করা হতো তাহলে তারা আরো লাভবান হতে পারতেন।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, সিরাজগঞ্জের গো-খামারিরা পশু পালনে সচেতন। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার না করে তারা প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করছেন। এ ব্যাপারে প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ায় খামারিরা এখন অনেক সচেতন এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই পশু মোটাতাজা করে লাভবান হচ্ছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিরাজগঞ্জ,কোরবানির পশু,হাট,বড় গরু,ছোট গরু,খামারি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close