সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৫
চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় পাবনার সাথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল খান সানাসহ ৫ জনকেগ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৬ জুন) রাতে উপজেলার চরভদ্রকোলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনকে পিটিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় সাঁথিয়ায় সন্ত্রাসী এই চক্র। উপজেলা সদরের ডাক বাংলোর সম্মুখস্ত ‘সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর ব্যক্তিগত অফিসে হেলালকে আটকে রেখে আবারও মারধোর করে সন্ত্রাসীরা।
হেলালের এক আত্মীয় পুলিশের ট্রিপল নাইন (৯৯৯) নম্বরে মোবাইল ফোন কলে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যায় সাঁথিয়া থানা পুলিশ ৫ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছেঃ কোনাবাড়িয়া গ্রামের জামাল খানের ছেলে হাসিবুল খান সানা, চক নন্দনপুরগ্রামের জামাল সরদারের ছেলে মেহেদী হাসান রুবেল, একই গ্রামের নৃপেন চন্দ্র সরকারের ছেলে সুদ্বীপ কুমার, চরভদ্রকোলা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ইয়াছিন আলী এবং আবুল কালামের ছেলে মিলন।
এই বিষয়ে হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩৪২, ৩৬৫, ৩৩৪ এবং ৩৮৫ ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানায়, এলাকার শান্তি বিনষ্টকারী চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার সকালে আসামীদের পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, হাসিবুল খান সানাকে ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পরই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার করে। চার মাস হাজতবাসের পর সে জামিনে মুক্তি পায় সন্ত্রাসী হাসিবুল।
অপরদিকে মেহেদী হাসান রুবেল একাধিকবার চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হয়। অতিসম্প্রতি (২৪ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক ফরিদ।
সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এই চক্রটি সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও ব্যাসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাছে প্রায় সময়ই চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলেই নানাভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে চাঁদাবাজ গ্রুপটি। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের মূল হোতারা গ্রেফতার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।