reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ জুন, ২০২২

কিশোরগঞ্জ হাওরের ১৯১ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

ছবি : সংগৃহীত

বন্যায় কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ১৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার হাওর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। পানি উঠেছে বসত-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্নস্থানে।

বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়া এবং ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ পর্যন্ত যে ১৫৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, এর মধ্যে ৫১টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল এবং গবাদিপশুও রয়েছে।

সুব্রত কুমার বণিক জানান, কিশোরগঞ্জে মোট এক হাজার ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বন্যার কারণে হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলার ১৯১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষকদেরকে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, নিকলী, বাজিতপুর ও ভৈরব উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। বন্যা দুর্গতদের জন্য ২৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৩৮টি পরিবারের প্রায় ১২ হাজার মানুষকে আশ্রয় নিয়েছে। বন্ধ রয়েছে ১৫ গ্রামের বিদুৎ সংযোগ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কিশোরগঞ্জ,ইটনা,মিঠামইন,নিকলি হাওর,হাওর এলাকা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close