চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

চিলমারীতে প্রিজাইডিং অফিসারকে তুলে নিয়ে পরাজিত প্রার্থীর মারধর

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. সাখোয়াত হোসেনকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের শিকার ওই প্রিজাইডিং অফিসারকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাতে উদ্ধার করে চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে পাঠান দায়িত্বরত চিকিৎসক।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে অষ্টমীর চর ইউনিয়নের দীঘলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের দীঘলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ইলেক্ট্রিক ভোটিং (ইভিএম) মেশিনে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। পরে ফলাফল ঘোষণায় ৪ ভোটে পরাজিত হয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. দুলাল তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার মো. সাখোয়াত হোসেনের ওপর হামলা চালান। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পরাজিত প্রার্থী তুলে নিয়ে তার বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। রাতে পুলিশের সাব ইন্সেপেক্টর মো. রবিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে উদ্ধার করে চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি করান।

প্রিজাইডিং অফিসার মো. সাখোয়াত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বারবার বলা হলেও আমার কেন্দ্রে এস আই আকবরের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তারা নিজেদের গা বাঁচিয়ে সটকে পড়েছেন। আমি তাদের দায়িত্ব অবহেলার দায়ে বিভাগীয় শাস্তিসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি।

চিলমারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে থানাহাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী আক্তার হোসেন মন্ডলের কর্মী সমর্থকরা সন্ধ্যায় সাইফুর রহমান মিঠন, সিরাজুল ইসলাম ও মিলনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রাতেই থানায় মামলা দায়ের করে। এরই জের ধরে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে ৬/৭ শতাধিক বিক্ষুব্দ কর্মী সমর্থক পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থক সাইফুল ইসলাম, আশাদুল ও ফজলুল রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর চালান।

পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আক্তার হাসান মন্ডল বলেন, ভোটের দিন সন্ধ্যায় আমার কোন কর্মী সমর্থক হামলার ঘটনা ঘটায়নি। তারা নিজেই দায় চাপিয়ে দিতে ঘটনা ঘটিয়েছেন।

হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বিজয়ী প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, গতকাল রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটিতে বিপক্ষ দল অতর্কিত হামলা চালান। এতে একটি বাড়ির খড়ের বেড়া ভেঙে যায়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রাকিব আহসান বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধরের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচন পরবর্তী কোথাও কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটলে সেটা স্থানীয় প্রশাসন দেখভাল করবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মারধর,পরাজিত প্রার্থী,প্রিজাইডিং অফিসার,চিলমারী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close