কনক দেব, শিবগঞ্জ (বগুড়া)

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

ঐতিহাসিক মহাস্থানের সাধের কটকটি!

মহাস্থানে কটকটির বিকিকিনি। ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

শুনতেও মজা! খেতেও মজা! বলছিলাম বগুড়া শিবগঞ্জে ঐতিহাসিক পুন্ডনগর মহাস্থান গড়ের কটকটির কথা। প্রায় আড়াই হাজার বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এই মহাস্থান। ইতিহাসের পুন্ডনগর খ্যাত মহাস্থান, বিখ্যাত ধর্মযাজক শাহ সুলতান রহমতউল্লাহ এর মাজার, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ প্রফুল্ল চাকী, শীলাদেবীর ঘাট,ফকির বিদ্রোহ আন্দোলনের ফকির মজনুশাহ, বেহুলা লখিনদরের বাসরঘর সহ অনেক স্মৃতিবিজড়িত ইতিহাস আর ঐতিহ্যের অপূর্ব লীলাভূমি এই মহাস্থানগড়। মহাস্থানগড় এলাকা ঘুরে জানা গেছে, চালের আটা দিয়ে তেলে ডালডা বা ঘিয়ে ভেজে আখ বা খেজুরের গুড় দিয়ে মাখানো হয়। এরপর হয়ে যায় চার কোনা বিস্কুট আকৃতির মিষ্টি কটকটি। খেতে খুব সুস্বাদু হওয়ায় পর্যটকদের মাধ্যমে এই কটকটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। এসব কটকটি তৈরির জন্য এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক কারখানা।

মহাস্থান মাজারগেট, বাসস্ট্যান্ডসহ বাজারে প্রায় শতাধিক কটকটির দোকান রয়েছে। এছাড়া আশপাশের এলাকায় রয়েছেন আরো কয়েক'শ ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা। কটকটি ব্যবসায়ী নসীব কটকটি, মনির হোসেন, লালমিয়া কটকটি, আশরাফুল ইসলাম ছালেক, নাসির কটকটি, মহাস্থান কটকটি হাকিম, নাসির, রফিকুল ইসলাম বাদল, শহীদুল ইসলাম রন্জু সহ প্রমুখ কটকটি ব্যবসায়ী প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, ঘিয়ে ভাজা খেজুর গুড়ের স্পেশাল কটকটি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, আখের গুড়ে তেরি তেলেভাজা কটকটি ১৫০ টাকা, ডালডায় ভাজা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

প্রতিদিন প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মণ কটকটি খুচরা ও পাইকারি বিক্রি হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা জানান, অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবারে বেশি বেচাকেনা হয়। এছাড়া মাজার কিংবা হিন্দুদের তিথি পর্বে এবং বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার এই এলাকায় মেলা বসে, যেখানে সবচেয়ে বেশি কটকটি বিক্রি হয়ে থাকে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই মিষ্টি খাদ্য কটকটি ব্যবসায় আর্থিক সফলতার মুখ দেখবে এবং এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি হবে আরো অনেকের। পাশাপাশি বাড়বে সরকারি রাজস্ব আয়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মহাস্থানগড়,কটকটি,কটকটির কারখানা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close