খুলনা ব্যুরো

  ১৪ অক্টোবর, ২০২১

তদন্ত কমিটি গঠন

কেসিসি’র আউট সোর্সিং শ্রমিকদের হাজিরার অর্থ আত্মসাৎ

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) আউট সোর্সিং (বহিরাগত) শ্রমিকদের ভুয়া হাজিরাসহ বেতনের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে আউট সোর্সিং শ্রমিকদের সুপারভাইজার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আজমুল হক।

তদন্ত টিমের সদস্যরা হলেন-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন, বাজেট-কাম-একাউন্ট অফিসার এম এম হাফিজুর রহমান ভেটেরিনারি অফিসার ডা. রেজাউল করিম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাফিজুর রহমানের মূলপদ ট্রাক শ্রমিক। বর্তমানে তিনি আউট সোর্সিং শ্রমিকদের সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে শতাধিক আউট সোর্সিং শ্রমিকের বেতনের টাকা কম দেওয়া, ভুয়া হাজিরা, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শ্রমিকদের হাজিরা টিপ সই নেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। কারণে তাকে মে শোকজ করা হয়। তিনি ১৬ মে শোকজের জবাব দেন। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ২৭মে কেসিসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিবুল আলমকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, তদন্তে শ্রমিকদের স্বাক্ষর ব্যতিত টিপসই নিয়ে বিল প্রদানের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। তিনি শ্রমিকদের বেতন কারচুপি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। গত ১৭ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ৩১ আগস্ট হাফিজুরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পর হাফিজুর ১৫ সেপ্টেম্বর জবাব দাখিল করেন। তারই প্রেক্ষিতে নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।

কেসিসির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রধান মো. আজমুল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে হাফিজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্টে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে তার স্ত্রী বিউটি বেগম কেসিসির মাস্টাররোল ঝাড়ুদার শ্রমিক। ২০নং ওয়ার্ডে তার ঝাড়ু দেওয়ার দায়িত্ব থাকলেও তিনি বর্তমানে দেন না। তার পরিবর্তে অন্য একজন আউট সোর্সিং শ্রমিককে দিয়ে কাজটি করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ১৮নং ওয়ার্ডে আউট সোর্সিং শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন হাফিজুরের কলেজ পড়ুয়া ছেলে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তার নিজ প্যাডে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুপারভাইজার হাফিজুর রহমান

তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রী অসুস্থ। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে অন্য লোক দিয়ে ঝাড়ুদারের কাজ করানো হয়েছে। এখন সুস্থ হয়ে তিনি (স্ত্রী) নিয়মিত ডিউটি পালন করছেন। তিনি বলেন, কোন টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি। সিস্টেমে ভুল হয়েছে শ্রমিকদের হাজিরা টিপসই অনেক আগ থেকেই নেওয়া হয়েছে। তখন কোন কর্মকর্তা ব্যাপারে আপত্তি করেননি। এখন করলে তার কিছু করার নেই বলেও জানান তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তদন্ত কমিটি গঠন,অর্থ আত্মসাৎ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close