রাজশাহী মহানগরীর কয়েরদাঁড়া এলাকায় আচমকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবন ভেঙে মাটিতে মিশে গেছে। তবে ভবনটিতে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও ভবনের নীচে থাকা ৩টি প্রাইভেটকার ও ২টি ভ্যান চাপা পড়ে।

এছাড়াও ভেঙে পড়া ভবনটির পাশে থাকা আরও ৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রোববার বিকেল ৩টার দিকে বৃষ্টিপাত চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।

জানা গেছে, ভবনটির মালিক ছিলেন আক্তারুজ্জামান বাবলু নামের এক ব্যবসায়ী। প্রায় এক বছর আগে তিনি মারা গেছেন। এখন ভবনের মালিকানায় আছেন তার ছোট ভাই নুরুজ্জামান পিটার। তবে আক্তারুজ্জামান বাবলুর মৃত্যুর পর থেকে ভবনটিতে আর কাজ হয়নি।

এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহীর সদর স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আবদুর রউফ জানান, অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এ ভবনটি নির্মাণ করার কারণে ভেঙে পড়েছে বলে প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর নির্মাণের ক্ষেত্রে ভবনের নকশা অনুমোদন ছিল কিনা এবং কোন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে সে বিষয়ে এখন তদন্ত করা হবে। এর পরই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

ভবনটির আয়তন বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রউফ বলেন, ভবনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট ও প্রস্থ ছিল ৪০ ফুট। চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল। এরপর ভবনটির ওপরে আরেকতলা তোলার জন্য বিম ওঠানো হয়েছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ তুলে বলেন, ভবনটি নির্মাণে খুবই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারিভাবে ভবনটি নির্মাণের জন্য অনুমোদন ছিলনা। যে কারণেই নির্মাণকাজ চলা অবস্থায় মালিকপক্ষের সাথে একাধিকবার নির্মাণ শ্রমিকদের কথাকাটাকাটির ঘটনাও ঘটেছে।

তবে একথা অস্বীকার করে এ বিষয়ে ভবন মালিকের ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন মডির দাবি করেন, নির্মাণকাজে ভালোমানের সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু কেন এভাবে ভেঙে পড়ল বুঝতে পারছিনা। এসময় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) কাছ থেকে এই ভবনটির নকশার অনুমোদন নেয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

পিডিএসও/এসএম শামীম