মহমুদুল হাসান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
রাঙ্গাবালীতে কমিউনিটি ক্লিনিকে বাড়ছে রোগীর চাপ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীকে উপজেলা ঘোষনার ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো হয়নি হাসপাতাল। যার ফলে উপজেলার সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে ভিড় জমাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে।
তাই চিকিৎসা সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রোগীবান্ধব হয়ে উঠেছে এ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো। ‘শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’ এই স্লোগান বাস্তবায়নই তাদের মূল লক্ষ্য।
এ উপজেলায় ১২ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা কেন্দ্র রয়েছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ক্লিনিক গুলো।
রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে ঘুরে দেখা যায়, ঠাণ্ডা জনিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে ক্লিনিকগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন নারী, শিশুসহ বৃদ্ধরা।
উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের মুখরবান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় ক্লিনিকে আসা বিলকিস বেগমের সাথে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাচ্চা অসুস্থ তাই এখানে নিয়ে আসছি। এই উপলোয় কোনো সরকারি হাসপাতাল নেই। আমরা গরীব, তাই এখানে আসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
উপজেলার কয়েকটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ মৌসুমী জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, পেটব্যাথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, মাথা ব্যাথা, বমিসহ এ ধরনের সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারা (সিএইসসিপি)।
জানা যায়, ক্লিনিকগুলোতে প্যারাসিটামল, মক্সিলিন, অ্যামক্সিলিন, সালবিটামল সিরাপ, অয়নমেন্ট মলমসহ ৩০ টি আইটেমের ওষুধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌডুবী মুখরবান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মো. নাঈমুর রহমান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে এ কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ায় এবং কোনো সরকারি হাসপাতাল না থাকায় এখানে সল্প আয়ের মানুষগুলো আসে সেবা নিতে। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের সেবা দিচ্ছি। আমরা সপ্তাহে ৬ দিন শিশু, বৃদ্ধ এবং মাতৃসেবা প্রদান করি।
পিডিএসও/এসএম শামীম