কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কৃষকের প্রায় ৪শ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান আবারও বন্যায়‘ পানির নীচে তলিয়ে গেছে। যে সময় রোপা আমন ধান রোপন করার পর জমি নিরানী দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে তাড়াশের কৃষক, ঠিক সে সময়ই আবারও বন্যায় কৃষকের স্বপ্ন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আগের বন্যায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বারুহাস, তালম, দেশীগ্রাম, মাধাইনগর ও তাড়াশ সদর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চল। তখন প্রায় ৬শ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। ইতোমধ্যেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রোপা আমন ধান রোপন করে কৃষক যখন আবারও ঘুড়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করছিল। কিন্তু সে সুযোগ নষ্ট করে দিল ২য় দফার এ বন্যা।

বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামের কৃষক দীপক কুমার শাহা বলেন, এ বছরের বন্যায় আমার রোপন করা রোপা আমন ধানের বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তারপর পানি নেমে যাওয়ায় অনেক দূর থেকে চারা নিয়ে এসে জমি রোপন করেছি সে জমিও পানিতে তলিয়ে গেছে।

আসানবাড়ী গ্রামের আবু জাফর টিক্কা বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আবারও আবাদ করতে অনেক কষ্ট করে রোপা আমন ধান রোপণ করেছি। সার, বীজ, কীটনাশক ক্রয় করে অনেক টাকা ব্যয় করে উঠতেই বন্যায় আবারও ক্ষতি হলো।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুনাহার লুনা বলেন, এবারের ১ম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা যেন ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে সেজন্য ৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরিতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছিল। এছাড়া একটি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল এবং ৪০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছিল। তারপর আবারও বন্যার তাড়াশে ৩শ ৬২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখনও যদি পানি নেমে যায় তবুও রক্ষা পাবে কৃষি ও কৃষক। বিষয়টি উদ্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।