রংপুর মহানগরীর বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা কবির (১৫)। সে দিনে স্কুলে গিয়ে পড়া লেখা করে ও রাতে রিক্সা চালিয়ে উপার্জন করে। প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় এ খবর প্রকাশ হওয়ায় নজর পড়ে রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীবের। জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলামকে দিয়ে কবিরের খোঁজ খবর নেওয়া হয়।

কবিরের পারিবারিক সকল তথ্য সংগ্রহ করে পেশ করেন জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীবের নিকট। এরপর দয়ালু জেলা প্রশাসক কবিরের দায় দায়িত্ব নেন। ভর্তি করে দেন রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে( টিটিসি) এসএসসি ভকেশনাল জেনারেল ইলেক্ট্রিকেল ওয়ার্কশপে।

শনিবার সকালে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে( টিটিসি) অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান বলেন, কবিরের স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য কোন খরচ লাগবে না । আমরা তাকে ফ্রি ভর্তি করে নিয়েছি জেলা প্রশাসকের কথায়। কবিরের লেখাপড়ার সকল সুযোগ সুবিধা আমরা দিবো। এরপর গতকাল বুধবার দুপুরে কবিরের হাতে তুলে দেন বই,স্কুল ড্রেস, জুতো ও ব্যাগ। এছাড়াও তার পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে একটি রিক্সা দেওয়া হয়। যেন রিক্সার ভাড়ায় পরিবারটি চলতে পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডিসি জেনারেল (সার্বিক) সৈয়দ এনামুল কবির, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃত পাঠাগার রংপুর জেলা সভাপতি আব্দুর রহমান রাসেল,একাত্তর টিভির রংপুর ব্যুরো চীফ শাহ্ বায়েজিদ আহম্মেদ,সংবাদ সংযোগ প্রত্রিকার রংপুর প্রতিনিধি রাজু মিয়া প্রমুখ।

কোনও ক্রমে খবরটি জানতে পারে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সহধর্মীনি আফসানা বারী। বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব খায়রুল ইসলামকে দিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তিনিও রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় কবিরের বাবা আব্দুর রহিমের মৃত্যু হয়। এরপর তার মা খোরেছা বেগমের অন্যত্রে বিয়ে হয়। সেইসঙ্গে নানী সুরতন বেওয়ায়ে নিয়ে অভাব অনটনের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এরপরও রয়েছে লেখাপড়ার খরচ। সেইসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন তো তার রয়েছেই!

পিডিএসও/তাজ