খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

  ১৩ অক্টোবর, ২০১৮

ভিক্ষাবৃত্তির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেলেন ৫৭ ভিক্ষুক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সীমান্তবর্তী পানছড়ি উপজেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ৫৭ জনকে বকনা গরু-ছাগল, শুকর, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি কার্ড, ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও নির্মিত ঘর দেওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে পানছড়ি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন’ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ‘ডিডিএলজি’ এটিএম কাউছার হোসেন, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম।

সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় মহতী এ উদ্যোগ গ্রহণ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাশেমকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশ স্বাধীন করে গেছেন। আর তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী এদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের নয়, তিনি এখন বিশ্বনেত্রী। তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

এসময় ৩৪ জন ভিক্ষুককে ২টি করে ছাগল এবং ১১ জনকে ১টি করে গরু ও ১টি শুকর, ১৫ জনকে বিধবা ভাতা, ৮ জনকে বয়স্ক ভাতা, ৪ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা, ৩ জনকে ভিজিডি কার্ড, ৯ জনকে নতুন ঘর নির্মান, ১৬ জনকে এক বান্ডেল করে ঢেউটিন, ৩ জনকে ১০ হাজার করে টাকা, ১ জনকে রেশন কার্ড ও ১ জনের রেশন কার্ড বন্ধক অবমুক্ত করে দেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।

পরে পানছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

পিডিএসও/এআই

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
খাগড়াছড়ি,ভিক্ষাবৃত্তি,অভিশাপ,মুক্তি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close