reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন আগামীকাল মঙ্গলবার। তারা নিজ নিজ দেশের রাজধানী থেকে কাল বিকেল ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন।

ঢাকায় কর্মকর্তারা জানান, এই পাইপ লাইন বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, দুই প্রধানমন্ত্রী কাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পৃথক পৃথক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন।

আজ সোমবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, ভারতীয় এলওসি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প দুটির উদ্বোধন করা হবে।

তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনের অধীন ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে সেকশনাল ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিকরণ এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মিত হলে সমন্বতি ও গতিময় ট্রেন সার্ভিস প্রবর্তনের মাধ্যমে শহরতলী এবং অন্যান্য জেলাসমূহের যাত্রী সাধারণের রাজধানী ঢাকায় স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও সময় সাশ্রয়ী যাতায়াত সম্ভব হবে।

প্রকল্পটিতে ভারতীয় এলওসি’র বরাদ্দ ৯০২ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অপরদিকে বাংলাদেশ সরকার খরচ করবে ২০৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। যাত্রী সাধারণের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক সংখ্যক ট্রেন চালু করার লক্ষ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। ফলে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

এ প্রকল্পে নির্মিতব্য অবকাঠামোসমূহ রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, টঙ্গী-জয়দেবপুর হয়ে উত্তরাঞ্চল এবং চট্রগ্রাম ও সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল অধিকতর স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও গতিময় করার ক্ষেত্রে ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর ফিডার সেকশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকন্স-কল্পতরু যৌথভাবে কাজটি করবে। চুক্তির মেয়াদ কাজ শুরুর তারিখ হতে ৩৬ মাস। এতে এমব্যাংকমেন্টসহ ৯৬ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেল লাইন নির্মিত হবে। এছাড়া কালভার্ট ২৫টি, প্লাটফর্ম ৬টি, প্লাটফর্ম সেড ৬টি, ফুটওভার ব্রীজ ১২টি, স্টেশন বিল্ডিং ৪টি এবং অন্যান্য পূর্ত কাজ করা হবে।

অপর এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বর্তমানে আমদানিকৃত তেল চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ হতে খালাস করে চট্টগ্রাম ডিপোতে সঞ্চয় করে রাখা হয়। পরে কোস্টাল ট্যাংকে করে খুলনার দৌলতপুর ডিপোতে আনা হয়। সেখানে আনলোড করে আবার রেলের ওয়াগনে আপলোড করে নিয়ে যাওয়া হয় পার্বতীপুরে। এই প্রক্রিয়ায়, পরিবহনজনিত সমস্যা, অতিরিক্ত সময় এবং অর্থের অপচয় হয় উল্লেখ করে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, পাইনলাইনের মাধ্যমে তেল আনলে এ তিনটারই সাশ্রয় হবে। এছাড়া, জ্বালানি নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে এ পাইপলাইন কার্যকর অবদান রাখবে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাংলাদেশ-ভারত,পাইপ লাইন নির্মাণ,ভিডিও কনফারেন্স,শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close