লিটন ঘোষ জয়, মাগুরা

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩

মাগুরা উৎপাদন হবে ১৫০ কোটি টাকার সরিষা

বিস্তীর্ণ মাঠে চৈতালি ফসল হিসেবে শীত মৌসুমে চাষ করা হয় সরিষার। যে দিকে দুচোখ যায়। হলুদ সরিষা ফুলে সেজে আছে মাঠের পর মাঠ। এ যেন হলুদের গালিচা। দৃষ্টিনন্দন এমন দৃশ্য দেখে মুহূর্তের মধ্যেই মন মুগ্ধ হয়ে যায়! হলুদ ফুলে মধু সংগ্রহের জন্য দলে দলে মৌমাছি উড়ে আসছে আর যাচ্ছে। সরিষা ফুলে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করলে ভালো পরাগায়ণে সরিষার ফলন বৃদ্ধি পায়। ফলে কৃষকরা মধু সংগ্রহকারীদের গ্রহণ করেন আনন্দের সঙ্গে।

মাগুরার ৪টি উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৬ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে তিন হাজার হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টরে ১.২৩ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে জেলায় এ বছর সরিষার চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে সদর উপজেলার বাল্য, ডেফুলিয়া, তেঘরিয়া, বালিয়াডাঙ্গা, বেঙ্গা বেরইল, মঘিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সরিষার ফুলে মধু আহরণকে কেন্দ্র করে মাগুরায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় ১০০টি মধুর খামার। ১০০ বছর আগেও যেখানে খামারের সংখ্যা ছিল মাত্র ১২টি। খামারগুলিতে কর্মসংস্থান হচ্ছে ৫ শতাধিক শ্রমিকের। এসব খামারে উৎপাদন হয় অন্তত দেড়শ টন মধু। বাজারে প্রতি মণ মধু ১৬ হাজার টাকা হিসেবে যা বিক্রি করে আয় হবে ৬ কোটি টাকার বেশি। তবে এত কিছুর পরও কৃষকরা সরকারি ব্যাংক এর সহায়তা না পাওয়ার আক্ষেপ জানান, ভাই ভাই মৌ খামারের মালিক ইসরাইল হোসেন। সদরের মঘি গ্রামের সরিষা চাষি আতর মোল্যা জানান, কয়েক বছর থেকে সরিষা চাষ করে আসছি। এ চাষে পরিশ্রম কম, ফলনও ভালো। সার ও ওষুধ নিয়মিত সময়ে দিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এবার ৪০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এখন গাছে গাছে ফুল এসেছে। আর কিছুদিনের মধ্যে ছোট ছোট গুটি গুটি সরিষা দানায় পরিণত হবে। আশা করছি খুব ভালো সরিষা পাব। মাগুরা বিসিকের প্রোমোশন অফিসার মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, জেলার মধুচাষিদের জন্য প্রশিক্ষণসহ ঋণ সহায়তার দেওয়ার পাশাপাশি মধুচাষের মাধ্যমে জেলার অর্থনীতি আরো বেগবান হবে বলে মনে করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close