মো. নুরুল করিম আরমান, লামা

  ০৮ ডিসেম্বর, ২০২২

পাহাড়ে মারফা চাষে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলার জুমে উৎপাদিত মজাদার সবজি হিসেবে মারফার কদর বাড়ছে। পাহাড়ি ও বাঙালি পরিবারে তরকারি হিসেবে মারফার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজারে চলছে মারফার বিকিকিনি। এক সময় জুম চাষিরা পাহাড় চূড়ায় জুম খেতে কাজ করার সময় ক্ষুধা ও তৃষ্ণা মিটানোর জন্য অল্প পরিমাণে মারফার চাষ করত। কিন্তু সেই মারফার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি বছরগুলোতে প্রায় জুমেই এ চাষ হচ্ছে। দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে মারফা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে পাহাড়ে।

এদিকে স্থানীয় জুমিয়ারা মনে করছেন, পাহাড়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে মারফা চাষ করা গেলে ফলন আরো বৃদ্ধি পেত। যা স্থানীয় সবজির চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যত্র বিক্রি করা যেত এবং এ মারফা চাষে জুমিয়ারা স্বাবলম্বী হতে পারত। এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধা, কৃষি বিভাগের আধুনিক চাষাবাদ বিষয়ের প্রশিক্ষণ প্রদান দরকার বলেও তার মনে করছেন জুমিয়ারা। স্থানীয় জুম চাষিরা জানায়, মারফা দেখতে শসার মতো। এটি কাঁচা এবং তরকারি হিসেবেও খাওয়া যায়। কচি মারফা দিয়ে শসার বিকল্প হিসেবে সালাদও তৈরি করেন স্থানীয়রা। শসা অনেকখানি লম্বা হলেও মারফা সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। এর ওজনও সাইজ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ কেজি পর্যন্ত হয়। শসার তুলনায় মারফার খোসা তুলনামূলক শক্ত। এটি কচি অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ ও লাল রং ধারণ করে। কিছু কিছু জাত রয়েছে যা পাকলে সাদা রঙের হয়। চলতি মৌসুম এলেই স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে জুমে উৎপাদিত বেগুন, কুমড়া, কাঁচামরিচ ও মারফাসহ বিভিন্ন শাকসবজি উঠতে শুরু করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close