নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ আগস্ট, ২০২২

পোশাক তৈরিতে আমদানি কাঁচামালের ব্যবহার বেড়েছে

দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক তৈরির প্রধান কাঁচামাল সুতা ও কাপড়। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত মানের কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিতে আমদানিনির্ভরতার পাশাপাশি সুতাণ্ডকাপড়ের স্থানীয় উৎপাদন সক্ষমতাও রয়েছে বাংলাদেশের। অর্থমূল্য বিবেচনায় গত ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি করা কাঁচামালের ব্যবহার বেড়েছে।

পোশাক রপ্তানির গতি-প্রকৃতি নিয়ে নিয়মিতভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের এক্সটারনাল ইকোনমিক্স শাখা থেকে প্রকাশ করা হয় তৈরি পোশাকের প্রান্তিক পর্যালোচনা শীর্ষক প্রতিবেদন। ২ আগস্ট প্রকাশ পেয়েছে এপ্রিল থেকে জুনের রপ্তানি পরিসংখ্যান নিয়ে পর্যালোচনার সর্বশেষ সংস্করণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রান্তিক পর্যালোচনা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৩ হাজার ১৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পোশাক রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে, যা তৈরিতে ১ হাজার ২৮৫ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ডলারের কাঁচা তুলা, কৃত্রিম সুতা, তুলাজাত সুতা এবং বস্ত্র ও অ্যাকসেসরিজের মতো কাঁচামাল আমদানি করা হয়। সে হিসেবে মোট রপ্তানির ৪০ দশমিক ৮৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় পোশাকের কাঁচামাল আমদানি বাবদ।

এদিকে গত জুনে সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানির অর্থমূল্য ছিল ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলার। এ পরিমাণ অর্থের পোশাক তৈরিতে বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৯৪৩ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। সে হিসেবে পোশাক রপ্তানির মোট অর্থমূল্যের ৪৫ দশমিক ৬১ শতাংশ ব্যয় হয়েছে কাঁচামাল আমদানিতে। গত অর্থবছরে ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় আমদানি কাঁচামালের ব্যবহার বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় বেড়েছে। বিশেষ করে আমদানি পণ্য পরিবহন ব্যয় বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এর ফলে মূল্য সংযোজনের হারও কমেছে। পোশাকের ভ্যালু অ্যাডিশন আরো বৃদ্ধি পেলে রপ্তানি মূল্যও বেশি পাওয়া সম্ভব।

সারা বিশ্বেই ফ্যাব্রিকের গঠন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে জানিয়ে শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, যেখানে ৭০ শতাংশই কটন ব্যবহার করা হতো, বর্তমানে সেখানে ৭০ শতাংশ কৃত্রিম তন্তু ব্যবহৃত হচ্ছে। কটন আর কৃত্রিম তন্তু ব্যবহার করে একটি টি-শার্ট বানাতে একই সময় লাগে। কিন্তু কৃত্রিম তন্তুর ক্ষেত্রে দাম বেশি পাওয়া যায়। এতে রপ্তানি মূল্য বেড়ে যায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ।

পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে মোট পোশাক রপ্তানি অর্থমূল্যের ৪৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে কাঁচামাল আমদানি বাবদ। নিট রপ্তানির (রপ্তানি মূল্য থেকে কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ বাদ দিয়ে প্রকৃত রপ্তানি) অর্থমূল্য ছিল ৬০৪ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close