চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২১

সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বাড়ছে আমদানি-রপ্তানি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বাড়ছে আমদানি-রপ্তানি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আহরণ বাড়ছে। শুধু রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি নয়, রীতিমতো চমক দেখিয়েছে সোনামসজিদ কাস্টমস হাউস। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২২৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের ১২ মাসের চেয়ে বেশি।

গত অর্থবছরের একই সময়ের (ছয় মাস) তুলনায় এ পরিমাণ ১৫৪ কোটি টাকার বেশি। আর ছয় মাসে আহরণ প্রবৃদ্ধি ২১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে প্রতিমাসেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে কর্মকর্তাদের তদারকি ও কঠোর নজরদারি বৃদ্ধির ফলে রাজস্ব আহরণ বাড়ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

সোনামসজিদ কাস্টমস হাউস সূত্র মতে, এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর, ভুট্টা, ভুসি, চিড়া, কিছু মেশিনারিজ, পোলট্রি ফিড, ফ্লাইঅ্যাশ ও পেঁয়াজ আমদানি হয়। মৌসুমি ফল যেমন কমলা, আঙ্গুরসহ বিভিন্ন ফল আমদানি হয়। নেট মশারি, পাটের ব্যাগ, পাটের দড়ি, রাইস ব্রান অয়েল ও কিছু গার্মেন্ট পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়। তবে এ বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের ৬০ শতাংশই পাথর। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় বর্তমানে দৈনিক প্রায় দেড় শতাধিক পাথরবোঝাই ট্রাক এ বন্দরে আসছে। পাথর আমদানি থেকেই বেশি রাজস্ব আদায় হচ্ছে।

অপরদিকে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি মৌসুমি ফল আমদানি হয় ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে। তবে এ বছর সোনামসজিদ দিয়ে মৌসুমি ফলের আমদানি বেড়েছে। এখন দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫টি ফলের ট্রাক এ বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে। ফল থেকেও রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। এছাড়া স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ বন্দর দিয়ে কাক্সিক্ষত মাত্রায় আমদানি-রপ্তানি হয়নি। সম্প্রতি বেশকিছু সমস্যার সমাধান হওয়ায় আমদানি-রপ্তানির পথ সুগম হয়েছে। ফলে রাজস্ব আহরণও বাড়ছে।

সোনামসজিদ কাস্টমস হাউস সূত্র মতে, রাজশাহী ভ্যাট কমিশনারেট এ কাস্টমস স্টেশনের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে বদ্ধপরিকর। আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি ও শুল্ক ফাঁকিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তবে সুযোগ সন্ধানী একশ্রেণির অসাধু আমদানিকারক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সহায়তায় রাজস্ব ফাঁকি দিতে সব সময় তৎপর। বিশেষ করে মিথ্যা ঘোষণায় এ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। গত ছয় মাসে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফাঁকিরোধে কাস্টমস তৎপরতা বাড়ানোয় সফলতা আসতে শুরু করেছে।

সূত্র মতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২২৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময় পর্যন্ত আদায় হয়েছিল ৭৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫৪ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত অর্থবছর ১২ মাসে আদায় হয়েছিল প্রায় ২১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close