নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ জুলাই, ২০২০

করোনাকালেও রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বিদায়ী অর্থবছরের দুদিন বাকি থাকতেই গত ২৮ জুন পর্যন্ত তারা ১৮ বিলিয়ন (১ হাজার ৮০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাধীনতার পর কোনো অর্থবছরে এত রেমিট্যান্স আসেনি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের শুরুর দিন অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৮০২ কোটি ডলার। এই অঙ্ক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়ের (জুলাই থেকে জুন) চেয়েও ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার (১৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন।

প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করেন দেখা গেছে, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা জুন মাসে এ যাবত কালের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন। তারা করোনার মধ্যেই ১ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত (২৮ দিনে) ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যদিও গত বছরের পুরো জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অন্যদিকে ২০১৮ সালের জুনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৩৮ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। আর এই রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে। গত সোমবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন (৩ হাজার ৫৭৬ কোটি) ডলার। দেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ রিজার্ভ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। তাদের এই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে তিনটি রেকর্ড হয়েছে। প্রথমত, অর্থবছরের দুদিন বাকি থাকতেই প্রবাসী আয় ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল। দ্বিতীয়ত, জুন মাসের ২৮ দিনে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। আর তৃতীয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন অতিক্রম করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, গত অর্থবছরে প্রবাসীরা ১৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ (১ দশমিক ৫) বিলিয়ন ডলার। অবশ্য গত মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। পরের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরো কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে নেমে আসে, যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। কিন্তু মে মাসে চিত্র পাল্টাতে থাকে। প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, ৩১ মে মাস শেষে সেই রেমিট্যান্স গিয়ে দাঁড়ায় ১৫০ কোটি ৪০ লাখ ডলারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close