নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ জুন, ২০১৯

বাজেটে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য লভ্যাংশ আয়ের ওপর করমুক্ত সুবিধা, দ্বৈত কর পরিহার ও বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া নগদ লভ্যাংশ প্রদানে কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ প্রদানসহ কোনো কোম্পানির বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হলেও ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত থাকবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর পরিহার করা হবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজাটে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে কোনো রুগ্ন কোম্পানিকে যদি কোনো আর্থিক দিক থেকে সবল কোম্পানি আত্মীকরণ করতে চায় সেটা বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে দর কষাকষির মাধ্যমে কিছুটা বিনিয়োগ সুবিধা দিয়ে হলেও এ কাজটা করা গেলে পুঁজিবাজার অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আসবে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বোনাস লভ্যোংশের ওপর কর আরোপের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা নগদ লভ্যাংশ প্রাপ্তির প্রত্যাশা করেন। সে বিবেচনায় নগদ লভ্যাংশ প্রদান পুঁজিবাজার শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু নগদ লভ্যাংশের পরিবর্তে বোনাস লভ্যাংশ বিতরণের প্রবণতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। এতে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রত্যাশিত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বোনাসের পরিবর্তে নগদ লভ্যাংশ প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য কোনো কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ দিলে এর ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান রাখার প্রস্তাব করছি। এছাড়া কোম্পানিগুলোর কোনো আয় বছরে রিটেউনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমুষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ হারে কর প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close