নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ নভেম্বর, ২০১৮

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও পাবেন ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ

সরকারি চাকরিজীবীদের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাও গৃহনির্মাণের জন্য ৫ শতাংশ সরল সুদে ঋণ পাবেন। ঋণ দেওয়ার জন্য নতুন নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। এসব কথা জানিয়ে অর্থ বিভাগ গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে এক চিঠিতে বলেছে, নীতিমালা প্রস্তুতের পর ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ৫ শতাংশ সরল সুদে গৃহনির্মাণ ঋণের আওতায় আনার জন্য সরকার ইতিমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে একটি পৃথক নীতিমালা প্রস্তুতের কাজ বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন। এ-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রস্তুতের পর সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ৫ শতাংশ সরল সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়ার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

সরকারের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। আগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এই ঋণের আওতায় ছিলেন না। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এক চিঠিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও এ ঋণের আওতায় আনতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে অনুরোধ করে।ওই চিঠির প্রেক্ষিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই ঋণের আওতায় আনা যায় কি না, তা ভেবে দেখতে অর্থসচিবকে চিঠি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এর জবাবেই অর্থ বিভাগ নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে জানায়।

সরকারি চাকরিজীবীদের কম সুদে গৃহঋণ দিতে সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী এবং বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই ঋণের সরল সুদহার হবে ১০ শতাংশ।

যার মধ্যে ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে সরকার। ইতোমধ্যে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সরকার। গত ১ অক্টোবর অনলাইনে গৃহনির্মাণ ঋণের জন্য আবেদন জমা শুরু হয়। অভিন্ন আবেদনপত্রে ২৮টি তথ্য চাওয়া হয়, যার মধ্যে ই-টিআইএন নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া প্রাইভেট প্লটের জন্য ৪-৬টি দলিল এবং সরকারি/লিজ পাওয়া প্লটের জন্য ৪-৭ দলিল দিতে হচ্ছে আবেদনকারীদের।

গত ৩০ জুলাই সরকারি কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে অর্থ বিভাগ। নীতিমালা অনুযায়ী, চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে এবং সর্বোচ্চ ৫৬ বছর বয়স পর্যন্ত গৃহঋণের জন্য আবেদন করা যাবে। বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ২০ বছরে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close