পাবনা প্রতিনিধি

  ২৯ এপ্রিল, ২০১৮

পাবনার লুঙ্গি রফতানি হচ্ছে ২৫টি দেশে

বাঙালিদের কাছে লুঙ্গি প্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী একটি পোশাক। এ পোশাক পরতেই ভালোবাসেন প্রায় সবাই। তা দেশে বা দেশের বাইরে যেখানেই হোক না কেন। দেশের অন্যতম লুঙ্গির উৎপাদনকারী অঞ্চল পাবনার লুঙ্গি এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে রফতানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যসহ প্রায় ২৫টি দেশে। পাবনা ছাড়াও সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও নরসিংদীর প্রায় দুই কোটি পিস লুঙ্গি রফতানি হচ্ছে এসব দেশে। এতে বছরে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা আয় হচ্ছে। বিদেশে অনেক বাংলাদেশি কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন প্রবাসে। তাদের চাহিদা পূরণ করতেই মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, বাহারাইন, দুবাই, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কানাডা, ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ২৫ দেশে লুঙ্গি রফতানি হচ্ছে। এসব দেশে বসবাসকারী বাঙালিরাই মূলত এ লুঙ্গির ক্রেতা। ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের লোকজন শখ করে এ দেশের লুঙ্গি ক্রয় করেন। দেশে ১৯৯৮ সাল থেকে বিদ্যুৎচালিত পাওয়ারলুমে লুঙ্গি তৈরি শুরু হয়। বর্তমানে এ ধরনের তাঁতে প্রায় ৯০ শতাংশ লুঙ্গি তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া চিত্তরঞ্জন ও পিটলুমেও লুঙ্গি তৈরি হচ্ছে। পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও নরসিংদীর ছোট-বড় মিলিয়ে লুঙ্গি প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় সোয়া এক লাখ। তাঁতিরা জানান, একসময় নামে-বেনামে বিক্রি হওয়া লুঙ্গি এখন পরিচিতি পাচ্ছে নিজস্ব ব্র্যান্ডে। দেশে প্রথম লুঙ্গি ব্র্যান্ডিং শুরু করে নরসিংদীর হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্স। এ ছাড়াও সোনার বাংলা টেক্সটাইল, ডিসেন্ট, ইউনিক, স্ট্যান্ডার্ড, আমানত শাহ, রুহিতপুরী, স্মার্ট, অমর, পাকিজা, এটিএম, বোখারী, ফজর আলী, অনুসন্ধান, জেএম, স্কাই, ওয়েস্ট, রংধনুসহ প্রায় ১২৫ ব্র্যান্ডের লুঙ্গি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে প্রতিটি লুঙ্গি ৩৫০ থেকে ৭০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো ডিজাইনের কারণে বাংলাদেশের লুঙ্গির দিকে নজর এখন বিদেশিদেরও। বাংলাদেশি লুঙ্গির বড় ক্রেতা ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist