তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

  ২৫ মে, ২০২২

আসছে নতুন স্মার্ট লেন্স

গ্লুকোমা সারা বিশ্বে অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ। গ্লুকোমায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অপটিক্যাল স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই স্নায়ুর ক্ষতির ফলে মস্তিষ্কে চাক্ষুষ তথ্য পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি হয়। চোখের অস্বাভাবিক উচ্চচাপের কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে।

গ্লুুকোমা এড়াতে তাই চোখের ওপর চাপ কমানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি চীনের একদল গবেষক এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারা এক ধরনের কমপ্যাক্ট তারবিহীন যন্ত্র (ওয়্যারলেস ডিভাইস) তৈরি করেছেন। এটি মূলত নমনীয় কনট্যাক্ট লেন্স। একে স্মার্ট লেন্সও বলা যায়। এটি চোখের চাপ শনাক্ত করতে পারে। এরপর এই লেন্স থেকে বিশেষ ধরনের ওষুধ বের হয়ে চোখের চাপ কমাতে সাহায্য করে। খবর সায়েন্স ডেইলির। গবেষকেরা বলছেন, নতুন স্মার্টলেন্সটি নিয়ে এখনো পরীক্ষা চলছে। এটি এখনো মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষা করা হয়নি। এই লেন্স কেবল শূকর ও খরগোশের চোখে পরীক্ষা করা হয়েছে। একে অবশ্য প্রযুক্তিগত দিক থেকে যুগান্তকারী উদ্ভাবন হিসেবেই দেখছেন গবেষকেরা। এর আগে বেশ কিছু গবেষক চোখের চাপ পরিবর্তন বা চোখে ওষুধ সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন। কিন্তু কখনোই দুটি সমস্যা একত্রে সমাধানের বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হয়নি। চীনের গবেষকরা এবারে উভয় প্রযুক্তি একত্রে যাতে কাজ করে তা নিয়ে গবেষণা করেন। এতে স্মার্ট লেন্স আগে চোখের চাপ শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করতে পারবে। গ্লুুকোমা হলো অপটিক স্নায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত চোখের বিশেষ রোগ। এটি বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের দৃষ্টি হারানোর অন্যতম কারণ। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি শনাক্ত করা ও সঠিক চিকিৎসা এ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে স্মার্ট কনট্যাক্ট লেন্স গুরুত্বপূর্ণ সমাধান হয়ে উঠতে পারে। তবে ছোট্ট এই যন্ত্রে ইলেকট্রিক সার্কিট ও ক্ষুদ্র সেন্সর বসানোর বিষয়টি প্রকৌশলগত দিক থেকে চ্যালেঞ্জিং ছিল। চীনের সান ইয়াৎ-সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চেং ইয়াং ও তার সহকর্মীরা সম্প্রতি তাদের গবেষণা সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। চেং ইয়াং বলেছেন, ‘কন্টাক্ট লেন্সে মাল্টি-মডিউল দ্বারা সংমিশ্রিত একটি জটিল থেরানোস্টিক সিস্টেম ইনস্টল করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। তার দ্বিস্তরের লেন্স এমনভাবে নকশা করেছেন, যাতে গ্লুকোমারোধী ওষুধ সরবরাহ করা যায়। যখন এই লেন্স চোখের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ চাপ শনাক্ত করে, তখন এর তারহীন সিস্টেম ওই ওষুধ উন্মুক্ত করার সংকেত পাঠায়। লেন্সের নিচে দিকে থাকা একটি অংশ থেকে চোখের কর্ণিয়াতে ওই ওষুধ পৌঁছে যায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close