তরুণরা চেষ্টা করলে অবশ্যই সফল হতে পারে। এর জন্য শূন্য থেকেই যাত্রা শুরু করতে হয়। চেষ্টা করলে বিজয় আসবেই। বিজয়ের জন্য অনেক গুণ থাকতে হয় না। শুধু দক্ষতা, চেষ্টা, ধৈর্য, আত্মত্যাগ ও পরিশ্রম থাকলেই যথেষ্ট। আসুন জেনে নিই সফলতার জন্য কী কী দরকার।

দক্ষতা অর্জনের নেশা : দক্ষতা অর্জনের নেশাটা থাকতে হয়। কারো কাছ থেকে কিছু শিখলে, তার প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকতে হয়। কিছু শেখার নেশাটাই আপনাকে সফল করবে। এ জগতে ভালোভাবে কাজ করার মতো যোগ্য হয়ে উঠতে হয়। ফলে প্রতিদিন প্রচুর সময় ব্যয় করতে হয় নতুন নতুন বিষয় শেখার জন্য।

‘অসম্ভব’কে না বলা : ‘এটা কি আমার দ্বারা সম্ভব?’ এ কথা ভুলেও মাথায় আনবেন না। অন্য কেউ যদি পারে, আপনার দ্বারাও সেটি সম্ভব হবে। কেউ জন্ম থেকে কোনো কিছু জেনে আসে না। চেষ্টা, পরিশ্রম, সাধনার মাধ্যমেই সবকিছু পারতে হয়। সাধনা, পরিশ্রম এবং বিষয়টি নিয়ে লেগে থাকলে অবশ্যই যেকোনো বিষয়ে সফলতা আসবেই।

ব্যর্থতার দায় : যেকোনো কিছু অর্জনের ব্যাপারে কারো ওপর নির্ভরতার চেয়ে নিজের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয়। ব্যর্থতার জন্য কারো ওপর কোনো অভিযোগ থাকতে নেই। অভিযোগটা আসলে নিজের কাছেই করতে হয়। সে জন্য নিজের দুর্বল দিকগুলোকে সবসময় পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। কেননা সবকিছুর জন্য আপনিই দায়ী। নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করতে পারলে কারো প্রতি কোনো অভিযোগ থাকবে না। নিজেকে দায়ী করতে পারলেই নিজের নেতৃত্বের গুণাবলিকে আপডেট করার দিকে নজর দিতে পারবেন।

ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধি : ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধির জন্য সবসময় চেষ্টা করতে হবে। কোনো নতুন ফল না পেলে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। তখন লেগে থাকার ধৈর্যশক্তি অর্জনের চেষ্টা বাড়াতে হবে। একটা বিষয় নিয়ে অনেক দিন গবেষণা এবং ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকলে সেটাতে দক্ষতা আসবেই।

অর্জনের জন্য আত্মত্যাগ : কোনো কিছু অর্জন করা এত সহজ নয়। বিশাল আত্মত্যাগেই কিছু অর্জন করা সম্ভব। সফলতার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। বরং আপনার কাজই আপনাকে সফলতার কাছে নিয়ে যাবে। এ অর্জনটির জন্যই অনেক আত্মত্যাগ এবং কষ্ট করতে হয়।

পরিশ্রমই আসল কথা : আপনার সব অর্জন নিজের পরিশ্রমের জন্য। পরিশ্রমের কোনো সংজ্ঞা নেই। পরিশ্রমটাই সফলতা বের করে নিয়ে আসে। পরিশ্রম করার পরের দিনই কিছু পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে নেই। পরিশ্রম করলে ফল কিছু না কিছু পাওয়া যাবেই।

"