গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৩ মে, ২০২৩

গোমস্তাপুরে কালবৈশাখীর হানা

আমের ব্যাপক ক্ষতি ভেঙে গেছে বাড়িঘর

আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কালবৈশাখীর ঝড়। ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে উপজেলা। বাড়িঘর, দোকানপাট, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা, ধানসহ সবজি বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে আমচাষির। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আম ঝড়ে গেছে। এতে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার ওপরে বলে জানা গেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, রবিবার (২১ মে) রাত পৌনে ৯টার পর হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড় উঠে। ঝড়ে সঙ্গে বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। প্রচণ্ড ঝড়ে গোমস্তাপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন স্থান লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এতে বাড়িঘর, দোকানপাটের টিনের ছাউনি উড়ে যায়। অনেক বাড়ি ভেঙে যায়। বোরো ধান, ভুট্টা, কলা, সবজিসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক আমবাগানের আম অর্ধেক পড়ে গেছে। রাস্তার ধারের গাছপালা উপড়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনেক স্থানে বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে রয়েছে। কোথায় কোথায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে আছে। ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।

রহনপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, তার বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। বাড়ির আসবাবপত্র ভেঙে গেছে। পার্বতীপুর এলাকার বাসিন্দা জবদুল হক বলেন, তার ১০ বিঘার ওপরে জমিতে আমবাগান রয়েছে। কিন্তু রবিবারের রাতের ঝড়ে গাছের অর্ধেকের আম পড়ে গেছে।

রহনপুর পৌর কাশিমপুর মহল্লার বাসিন্দা রুবেল, ডালিম, মাসির জানান, তাদের মহল্লার অনেকের বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। রাস্তার ধারে নিমগাছ, খেজুরগাছ, কলার বাগান, তালগাছ উপড়ে গেছে। তবে প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে রাস্তা পড়ে আছে। এমরান আলী বাবু নামে আশ্রয় প্রকল্পের উপহারভোগী জানান, তার বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। আহত ষাঁড় বুরুজ গ্রামের বাসিন্দা জামরুল ইসলাম বলেন, তিনি ঝড়ের সময় খোঁয়াড়ের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। হঠাৎ একটি ইট উড়ে এসে মাথায় আঘাত করে। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, উপজেলা আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কালবৈশাখী আঘাত হানে। এতে আমসহ সবজি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমির বিপরীতে ২১০ হেক্টর জমির আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমের ক্ষতির পরিমাণ ৫০৪ টন হতে পারে।

গোমস্তাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবিবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলে পরে তাদের সহায়তা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close