মোজাম্মেল হক আলম, লাকসাম (কুমিল্লা)
সাবরেজিস্ট্রার পদ শূন্য
লাকসাম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে জনভোগান্তি
কুমিল্লার লাকসামে প্রায় দেড় বছর ধরে সাবরেজিস্ট্রার পদটি শূন্য রয়েছে। এতে লাকসাম উপজেলার জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কর্তৃপক্ষ জেলার অন্য উপজেলার সাবরেজিস্ট্রারদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে সপ্তাহে দুয়েকদিন ওই অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
এ শূন্যতার কারণে মাসের বেশির ভাগ রেজিস্ট্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জনভোগান্তি ছাড়াও অফিসের কর্মচারী, দলিল লেখক ও স্ট্যাম্পভেন্ডাদের অলস সময় কাটাতে হয়। এর মধ্যে অসুস্থতা কিংবা জরুরি প্রয়োজনে সাবরেজিস্ট্রার না আসলে অফিস কার্যক্রম একেবারে অচল হয়ে পড়ে।
লাকসাম সাবরেজিস্টি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছরের অধিক সময় থেকে লাকসাম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে কোনো সাবরেজিস্ট্রার নেই। যার ফলে পাশের উপজেলায় কর্মরত সাবরেজিস্ট্রার দিয়ে সপ্তাহে এক-দুই দিন করে রেজিস্ট্রি কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয়। এ ছাড়াও সপ্তাহে নির্দিষ্ট ওই দুই দিনে অসুস্থতা কিংবা জরুরি প্রয়োজনে সাবরেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকলে সে দিনও বন্ধ থাকে রেজিস্ট্রি কার্যক্রম। এতে করে রেজিস্ট্রি করতে আসা সাধারণ জনগণের ভোগান্তি আর দুর্ভোগ আরো বাড়ছে।
লাকসাম সাবরেজিস্ট্রি অফিস দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অহিদুর রহমান জানান, দক্ষিণ কুমিল্লার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা লাকসামে দীর্ঘদিন যাবৎ সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় জনদুর্ভোগের শেষ নেই। মানুষ একান্ত প্রয়োজনেই জমি ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন। কিন্তু নিয়মিত সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় রেজিস্ট্রি কার্যক্রম সম্পাদন না করতে পেরে হয়রানি হতে হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনে দলিলের নকল উঠাতে এসেও সাবরেজিস্ট্রার নিয়মিত না থাকার কারণে ১০/১৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
লাকসাম সাবরেজিস্ট্রি অফিসের করণিক এনামুল হক জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় অফিসের দৈনন্দিন কার্যক্রমে যেমন বিঘ্ন ঘটছে, তেমনি বাড়ছে জনদুর্ভোগ। আমরা ডিআরও অফিসে আবেদন করেছি লাকসাম অফিসে একজন স্থায়ী সাবরেজিস্ট্রার দেওয়ার জন্য। উপজেলার হামিরাবাগের মোস্তফা কামাল জানান, জমি বিক্রি করে তিনি বিদেশ যাচ্ছেন। তার ভিসা ও টিকেট কনফার্ম হয়ে গেছে। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় তিনি জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে পারছেন না। তাই জমির ক্রেতা টাকা পরিশোধ করছেন না। এর ফলে তার ভিসা ও টিকেট কনফার্ম হওয়ার পরও বিদেশ যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার।
"