বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
রাস্তার একি হাল!
দুর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ
নাটোরের বড়াইগ্রামের বাগডোব বাজার থেকে তালশো মধ্যপাড়া পর্যন্ত মাত্র তিন কি.মি. রাস্তা পাকা না হওয়ায় তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জানা গেছে, বড়াইগ্রাম, নগর ও জোনাইল ইউনিয়নের ৬ টি গ্রামের বাসিন্দারা বাগডোব-তালশো রাস্তায় চলাচল করে। আশেপাশের মানুষের কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বাগডোব বাজারসহ লক্ষীকোল ও জোনাইল বাজারে যাবার এটাই একমাত্র রাস্তা। এছাড়া শিক্ষার্থীরা এ পথেই বাগডোব উচ্চ বিদ্যালয়সহ বড়াইগ্রাম ও জোনাইল কলেজে যায়। কিন্তু রাস্তাটির কুন্ডুপাড়া থেকে তালশো মধ্যপাড়া মসজিদ পর্যন্ত অংশ এবং বাগডোব বাজার পর্যন্ত রাস্তা পাকা থাকলেও বাগডোব বাজার থেকে তালশো মধ্যপাড়া পর্যন্ত তিন কিমি. রাস্তা পাকা না হওয়ায় স্থানীয়রা রাস্তাটির সুফল ভোগ করতে পারছে না। উল্টো বর্ষায় কর্দমাক্ত রাস্তায় চলাচল করাই দায় হয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাদায় কোন যানবাহনই ঠিকমতো যেতে পারছে না। যাত্রীরা নিজেরাই কাদায় নেমে সিএনজি-অটো রিক্সা ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন। যারা পায়ে হেঁটে যায় তারা হাঁটু পর্যন্ত কাপড় ভাঁজ করে হাতে জুতা-স্যান্ডেল ও সাথে থাকা মালামাল নিয়ে কষ্ট করে কাদা পাড়ি দিচ্ছে। এই পথে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মাঝে মধ্যে কাদায় পিছলে বই খাতা ও জামা-কাপড় নষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা নিত্য নৈমত্তিক।
সিএনজি অটোরিক্স্রা চালক সোহেল জানান, এই পথে সিএনজি চালাতে দারুন বেগ পেতে হয়। চালকরা কাদার কারণে এই পথে যেতে রাজি না হলে যাত্রীদের সাথে মাঝে-মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি পর্যন্ত হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল করিম রবি বলেন, বাগডোব-জোনাইল ৭ কিলোমিটার সড়কের দুই দিকেই পাকা থাকলেও মাঝের ৩ কি.মি. রাস্তা কাঁচা থাকায় স্থানীয় লোকজন বৃষ্টি মৌসুমে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এ এলাকার মানুষের দাবী রাস্তাটি যেন অতি দ্রুত পাকা করা হয়। নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন ডালু জানান, রাস্তাটি পাকা হলে নগর ইউনিয়নের সঙ্গে জোনাইল ও বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের সহজ যাতায়াত সম্ভব হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. তাহাজ্জদ হোসেন জানান, এই তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই এ রাস্তার কাজ করা যাবে বলে আশা করছি।
"