দশমিনা ও পাইকগাছা প্রতিনিধি

  ২০ অক্টোবর, ২০২৪

পটুয়াখালী-খুলনা

বজ্রপাতে দশমিনায় শিক্ষার্থী ও পাইকগাছায় নারীর মৃত্যু

বজ্রপাতে পটুয়াখালীর দশমিনায় এক স্কুল শিক্ষার্থী ও খুলনার পাইকগাছায় লাকি খাতুন (৫০) নামে এক দিনমজুর নারীর মৃত্যু হয়েছে।

পটুয়াখালীর দশমিনা প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীর দশমিনায় বজ্রপাতে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। মৃত শিক্ষার্থী উপজেলার ৮০ নম্বর দক্ষিণ পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও ২ নম্বর ওয়ার্ড গোলখালী গ্রামের বাবুল হাওলাদরের ছেলে মো. আবুবকর (১১)।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকাল থেকে আকাশে থেমে থেমে বিদ্যুৎ চমকায় ও ডাকাডাকির শব্দ হয় সাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। আবু বকরকে সকালে চুল কাঁটার জন্য দশমিনায় নিয়ে আসেন তার বাবা-মা। বাড়ি যাওয়ার পথে ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ইসলামিয়া সিনিয়ার মাদ্রাসার পূর্ব পাশে বজ্রপাতে আবুবকর ঘটনা স্থলেই মারা যায়। বাবা-মা ও এলাকার লোকজন তাকে বাড়ি নিয়ে যায়।

আবুবকরের বাবা বাবলু হাওলাদার জানান, ছেলেকে চুল কাটার জন্য দশমিনা নিয়ে যাই ফেরার পথে আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় সাথে বজ্রপাত হচ্ছে। আমি ও ওর মা পিছনে আবুবকর আগে আগে যাচ্ছে হঠাৎ বিকট বজ্রপাতের শব্দে আমার সামনে তাকিয়ে দেখি আবুবকর মাটিতে পড়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখি আমার বাবার শ্বাস-নিশ্বাস চলে না। আমাদের কান্না শুনে এলাকার লোক এসে আমার ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসে। ইউপি সদস্য শাহজাহান বলেন, সকাল থেকে যেমন বিদ্যুৎ চমকায় তেমনি আকাশের ভাড়ি গর্জন। ঘটনার বিষয় শুনে ছুটে যাই মনে হয় বজ্রপাতে আবুবকরের মৃত্যু হয়।

খুলনার পাইকগাছা প্রতিনিধি জানান, খুলনার পাইকগাছায় বজ্রপাতে লাকি খাতুন (৫০) নামে একজন দিনমজুর নারীর মৃত্যু ও তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের পাইকগাছা হাসাপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষীখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সকালে শঙ্কামুক্ত বলে আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাসানুজ্জামান জানান, উপজেলার কেওড়াতলা মৌজায় গতকাল শনিবার সকালে জনৈক ভুট্টোর চিংড়ী ঘেরে ৪ ব্যক্তি শেওলা বাছার কাজ করছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বজ্রপাত হলে লক্ষীখোলা গ্রামের লাকি খাতুন ঘটনাস্থলে মারা যান। ওড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত হরিপদ মন্ডলের ছেলে সন্তোষ সানা (৪৬) ও তার স্ত্রী সুভদ্রা সানা (৩৮) এবং ওড়াবুনিয়া গ্রামের ফজিলা খাতুন (৪০) আহত হয়। সন্তোষ ও ফজিলা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। সুভদ্রা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কান্তি দাস জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close