কনক দেব, শিবগঞ্জ (বগুড়া)

  ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

অটোরিকশার দখলে মহাসড়ক ব্যাহত যান চলাচল

বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলায় বিশ্বরোডের দুই পাশে রাস্তার ওপরে গড়ে ওঠেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশার অপরিকল্পিত স্ট্যান্ড। এতে মহাসড়কে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক যান চলাচল। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এসব অটোরিকশার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাফেরা দুঃসহ হয়ে পড়েছে। সড়কের ওপর সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলো সাঁরি করে রাখায় পথচারীদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। এমনই অভিযোগ ন্থানীয় বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলায় বিশ্বরোডের দুই পাশে সিএনজি অটোরিকশার রাজত্ব। মোকামতলায় মহাসড়কের পশ্চিমে মোকামতলা-জয়পুরহাট সিএনজি স্ট্যান্ড, পূর্বপাশে মোকামতলা-রহবল সিএনজি স্ট্যান্ড ও মোকামতলা-বগুড়া সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোতে মহাসড়কের ওপর সিএনজি চালিত অটোরিকশা সাঁরিবদ্ধ করে রাখা হয়। এতে করে সড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। ফলে যানজটের পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মোকামতলা বিশ্বরোড এলাকা। সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এ জায়গাটি অতিক্রম করতে হয়। এজন্য প্রতিদিন এখানে কয়েক’শ গণপরিবহনের যাত্রী উঠা-নামা করে। মোকামতলায় মহাসড়কের পশ্চিমে ইউনিয়ন পরিষদ, মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়, মোকামতলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়,জামে মসজিদ, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, খেলার মাঠ, ও বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়সহ আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে মহাসড়কের পূর্ব পাশে মোকামতলা ইউনিয়নের বৃহৎ হাট, সরকারি ভূমি অফিস, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, রূপালী ব্যাংক, সোনালি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ও আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠেছে। মহাসড়কের উভয় পাশে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কাজ ও সেবা নিতে পারাপার হতে হয় হাজারো মানুষকে। বন্দরে পারাপারের জন্য দু’জায়গায় মহাসড়কের রোড ডিভাইডার ১০ ফুট করে ফাঁকা রাখা হয়েছে। কিন্তু সেখানে পারাপার হতে রাস্তার ওপরে সাঁরিবদ্ধ করে রাখা এসব সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলোর বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় পথচারীদের। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। একই অবস্থা মোকামতলা-সোনাতলা আঞ্চলিক মহাসড়কে। এই সড়কে পরপর দুটি স্ট্যান্ড সড়কের ওপরেই অবস্থিত। অটোরিকশাগুলো রাস্তার ওপর স্ট্যান্ড করার কারণে রাস্তা অনেকটা সংকুচিত হয়েছে। ফলে সারাদিন যানজট লেগেই থাকে সড়কটিতে। এদিকে মোকামতলায় মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে চৌমাথায় ফুটওভার সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সাজু আহমেদ জানান, মোকামতলা মহাসড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। এখানে মহাসড়কের ওপরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রাখার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সবাই। যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে সোনাতলা রোডে ২ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগে ২০ মিনিট। মেইন রোড থেকে যত্রতত্র সিএনজিগুলো সরিয়ে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেছি।

বগুড়ার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলবো। এবং মহাসড়ক থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনারুজ্জামান প্রতিদিনের সংবাদ কে বলেন, মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা তাদের সচেতন করছি। তারা যেন শৃঙ্খলভাবে চলাচল করে সেজন্য আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close