বগুড়া প্রতিনিধি

  ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বগুড়া

নানার বাড়িতে গিয়ে খুন হলো ৫ বছরের বন্ধন

বগুড়ায় নানার বাড়িতে (মায়ের মামা) বেড়াতে গিয়ে খুনের শিকার হয়েছে ৫ বছরের এক শিশু। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকায় বন্ধনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুকুমার দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুকুমার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি এলএলবি শেষ বর্ষের ছাত্র।

সরোজমিনে ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদরের পীরগাছা বথুয়াবাড়ী এলাকার রবি দাস ও কাকলী রানীর ছেলে বন্ধন সরকার (৫) স্থানীয় কেজি স্কুলের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের আরো এক কন্যা সন্তান রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে সদর উপজেলার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকায় হরিবাসর শুরু হয়। এ উপলক্ষে বন্ধন মায়ের সঙ্গে নানার বাড়ি (মায়ের মামার বাড়ি) বেড়াতে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে ঘরের বাইরে কাজ করছিল মা কাকলী। পরে খুঁজতে গিয়ে ঘরের মধ্যে ছেলেকে গলাকাটা অবস্থায় দেখেন।

নিহত বন্ধনের বন্ধুর মা বলেন, এক সঙ্গেই হরিবাসরে আসছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) হরিবাসর শেষ করে বাড়িতে যেতে চাচ্ছিলাম। হরিবাসরে বসে থাকা অবস্থায় শুনি বন্ধনকে তার মায়ের মামা সুকুমার গলাকেটে হত্যা করেছে।

প্রতিবেশীরা বলেন, অনেকেই অভিযুক্ত সুকুমারকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু সুকুমার কালকেও হরিবাসরে প্রসাদ বিতরণ করেছে। আবার সে এলএলবি পড়াশোনাও করছে। তাহলে কীভাবে সে মানসিক ভারসাম্যহীন।

এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে আসেন। নিহত বন্ধনের মা কাকলী রানী বলেন, সুকুমার আমার মামা হয়। সে কীভাবে আমার ফুলের মতো শিশুকে গলা কেটে হত্যা করল। ও মামা নামের কলঙ্ক। আমি তার বিচার চাই।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শাহীনুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত সুকুমারকে রক্তমাখা ছুরিসহ আটক করা হয়েছে। তিনি খুনের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তা তিনি বলেননি। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close