গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

  ৩০ মার্চ, ২০২৪

কাশিয়ানী

পুকুরে বালু খুঁড়লেই মিলছে মূর্তি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পুকুরে বালু খুঁড়লে প্রাচীন আমলের দেব-দেবীর মূর্তি পায়। কয়েকদিন ধরে উপজেলার গুঘালিয়া গ্রামের একটি পুকুরে কয়েকটি মূর্তি যায় স্থানীয় শিশুরা। মূর্তিগুলো দেখতে পুকুর পাড়ে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেগুলো উদ্ধার করেছেন।

পুকুরটির মালিক নিকটবর্তী সরাইকান্দি গ্রামের বদরুল আলম শেখ জানান, এক সপ্তাহ আগে সেখানে গোসল করতে নেমে বালুর মধ্যে ওই দেব-দেবীর মূর্তিগুলো পায় স্থানীয়রা। সে সময় তারা বালু খুঁড়ে আরও কিছু মূর্তি পেলে বাড়িতে নিয়ে যায়। গুঘালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ শেখ বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমরা ওই পুকুরে গোসল করতে গিয়ে বালুর মধ্যে একটি মূর্তি দেখতে পাই। পরে বালু খুঁড়ে আরও কিছু মূর্তিপাওয়া যায়। বাড়িতে এনে লোকজনকে দেখাই। পরে তিনি বিষয়টি ইউএনও মহদয়কে জানালে তিনি পরে সেগুলো উদ্ধার করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়ানী ইউএনও মো. রাশেদুজ্জামান খোঁজ খবর নিতে ওই ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। বিভিন্ন দেব-দেবীর অর্ধশতাধিক মূর্র্তি ও এর অংশবিশেষ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। মূর্তিগুলো কোন আমলের ও কিসের তৈরি, সেটা প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষার পর জানতে পারবেন বলে জানিয়েছে।

ফুকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ইশতিয়াক পটু বলেন, তার এলাকার একটি পুকুরে বালু খুঁড়লেই ‘প্রাচীন আমলের’ মূর্তি পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি স্থানীয়দের কাছে শুনেছেন। তবে সেগুলো কীসের তৈরি সে বিষয়ে তার ধারণা নেই।

ফুকরা ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শংকর বাড়ৈ বলেন, গুঘালিয়া গ্রামের একটি পুকুরে স্থানীয় কয়েকটি শিশু গোসল করতে গিয়ে বালু খূঁড়ে প্রাচীন আমলের মূর্তি পায়। বিষয়টি ইউএনও জানতে পেরে তাঁকে সেখানে পাঠান। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

কাশিয়ানীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে মূর্তিগুলো উদ্ধার করা হয়। সেগুলো জেলা প্রশাসকের কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে মূর্তিগুলো কিসের তৈরি বলতে পারবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close